Logo

সারাদেশ

শ্রীপুর কাঁপাচ্ছে ৩০ মণের ‘ভাওয়াল রাজা’

Icon

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৫, ১১:২১

শ্রীপুর কাঁপাচ্ছে ৩০ মণের ‘ভাওয়াল রাজা’

ছবি : বাংলাদেশের খবর

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গাজীপুরের শ্রীপুরে আলোচনায় এসেছে একটি বিশাল আকৃতির ষাঁড় গরু। নাম তার ‘ভাওয়াল রাজা’। ওজন প্রায় ৩০ মণ বা ১২০০ কেজি। গরুটির মালিক মাস্টার অ্যাগ্রো ফার্মের উদ্যোক্তা মাহফুজুর রহমান গরুটির দাম হাঁকিয়েছেন ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

শ্রীপুর পৌরসভার লোহাগাছ গ্রামের মাস্টার অ্যাগ্রো ফার্মে গিয়ে দেখা যায়, প্রাকৃতিক পরিবেশে বেড়ে ওঠা ‘হলেস্টিয়ান ফ্রিজিয়ান’ জাতের এ ষাঁড়টির দৈর্ঘ্য প্রায় ১৩ ফুট এবং উচ্চতা ৬ ফুট ৬ ইঞ্চি। বয়স প্রায় চার বছর। মালিক মাহফুজুর রহমান জানান, গরুটি শান্ত স্বভাবের হলেও মাঝেমধ্যে উত্তেজিত হয়ে ওঠে। তখন একে নিয়ন্ত্রণে আনতে ২০ থেকে ২৫ জন মানুষের প্রয়োজন হয়।

তিনি আরও জানান, সাড়ে তিন বছর আগে বাউনি গ্রামের এক কৃষকের কাছ থেকে ৮৫ হাজার টাকায় ষাঁড়টি কিনেছিলাম। তখন বয়স ছিল এক বছরের মতো। প্রাকৃতিক খাবার ও পরিচর্যায় এটিকে বড় করেছি।

মাস্টার অ্যাগ্রো ফার্মে আরও ২৫টি গরু-ছাগল রয়েছে। যাদের মধ্যে চলতি ঈদের জন্য ৯টি দেশি ষাঁড় প্রস্তুত করা হয়েছে। ফার্মের কর্মী জুয়েল জানান, প্রতিদিন গরুটিকে দুই থেকে তিনবার গোসল করানো হয়, খাবার বাবদ খরচ হয় প্রায় ১৬০০ টাকা।

ফার্মের মালিক জানান, নিয়মিত পরিচর্যায় ষাঁড়টিকে দিনে দুই থেকে তিন বেলা শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করানো হয়। নিয়ম করে তিন বেলার খাবারে দেওয়া হয়। খামারির নিজস্ব জমির কাঁচা ঘাস, ভুট্টা, খৈল, লবণ ও গম ভাঙা।

খামারের পরিচর্যার দায়িত্বে থাকা জুয়েল বলেন, প্রতিদিন প্রায় ১৬শ টাকার খাবার খায় ষাঁড় গরুটি। একে নিয়ম করে প্রতিদিন অন্তত দু’বার গোসল করানো হয়। আমরা পরিবারের সদস্য মনে করেই তাকে লালনপালন করছি।

ফার্মের মালিক মাহফুজুর রহমান বলেন, ষাঁড়টিকে আমরা হাটে তুলব না। খামার থেকেই বিক্রি করব। সাড়ে ৮ লাখ টাকায় বিক্রি করতে চাইছি। ইতিমধ্যে ৮ লাখ টাকা দাম উঠেছে। আমরা একে প্রাকৃতিকভাবে লালনপালন করেছি, পরিমিত খাবার দিয়েছি। বেশি খাবার দিলে এর ওজন আরও ৬-৭ মণ বেশি হতো। ওজন অতিরিক্ত হলে ঝিমায় যেত। কিন্তু ষাঁড়টি এখন খুবই প্রাণবন্ত।

শ্রীপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আশরাফ হোসেন বলেন, শুরু থেকে মাস্টার অ্যাগ্রো খামারটির বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখা হয়েছে। খামারটিতে ১২শ কেজি ওজনের বড় একটি ষাঁড় গরু আছে। এবার এটিই সবচেয়ে বড় গরু। খামারিকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করা হয়েছে। মাঝারি ও ছোট গরুর চাহিদা বেশি হওয়ায় উপজেলায় বড় গরু পালনে মানুষ কম আগ্রহী। উপজেলায় এটি হচ্ছে সবচেয়ে দামি গরু। আশা করছি, এবার কোরবানি ঈদে খামারিরা তাদের পশুর ভালো দাম পাবেন।

সোহেল/এমবি 

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

কোরবানির পশু ঈদুল আজহার সব খবর

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর