Logo

সারাদেশ

বৃষ্টি হলেই কদর বাড়ে ছাতা কারিগরদের

Icon

লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৯:২২

বৃষ্টি হলেই কদর বাড়ে ছাতা কারিগরদের

৪০ বছর ধরে বর্ষার সময় ছাতা মেরামতের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন বদরপুর ইউনিয়নের রায়রাবাদ গ্রামের ৭০ বছর বয়সী মো. কয়ছর আহমেদ বিশ্বাস। ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারাদেশের মতো ভোলার লালমোহনে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে আনন্দের ছোঁয়া লেগেছে পৌর শহরের ছাতা কারিগরদের জীবনে। বর্ষা এলেই বেড়ে যায় পুরোনো ছাতা মেরামতের কাজ। ফলে ফুটপাতজুড়ে এখন ছাতা মেরামতের ব্যস্ততা। কাজের চাপ বাড়ায় উপার্জনও বেড়েছে এসব দিনমজুরের।

পৌর শহরের হাফিজ উদ্দিন অ্যাভিনিউর ফুটপাতে ৪–৫ জন কারিগর পুরোনো ছাতা মেরামত করেন। তাদের মধ্যে সবচেয়ে প্রবীণ ৭০ বছর বয়সী মো. কয়ছর আহমেদ বিশ্বাস। গত ৪০ বছর ধরে বর্ষার সময় ছাতা মেরামতের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন তিনি। বাড়ি উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের রায়রাবাদ গ্রামে।

কয়ছর আহমেদ বলেন, ‘প্রায় ৪০ বছর ধরে ছাতা মেরামত করি। এখন বৃষ্টি হওয়ায় কাজ বেড়েছে। গড়ে প্রতিদিন ৩০০ টাকার মতো আয় হয়। এই টাকায় বৃদ্ধা স্ত্রীকে নিয়ে কোনোমতে সংসার চালাই। কিন্তু বর্ষা ছাড়া বাকি সময় তেমন কাজ থাকে না।’

তিনি বলেন, ‘চার ছেলের সবাই আলাদা সংসার করে। একমাত্র মেয়েও বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে থাকে। তাই এই বয়সে বাধ্য হয়েই পেটের দায়ে কাজ করছি। শরীরটাও আগের মতো চলে না। জানি না, আর কত দিন এই কাজ করতে পারব। সরকার যদি বয়স্ক ভাতা আর কিছু চালের ব্যবস্থা করে, তাহলে বাকি দিনগুলো একটু ভালোভাবে চলত।’

আরেক ছাতা কারিগর মো. শাহে আলম (৫৫) বলেন, ‘বছরের বাকি সময় কাজ কম থাকে, কিন্তু বর্ষায় ভালো আয় হয়। প্রতিদিন গড়ে ৩০০ টাকা উপার্জন করি। তাতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কোনোমতে সংসার চলে। বসতভিটা ছাড়া আর কোনো সম্পত্তি নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘লালমোহন পৌরসভাসহ আশপাশের এলাকায় অনেক ছাতা কারিগর রয়েছেন, যারা আমাদের মতোই অসচ্ছল। আমরা চাই সরকার আমাদের মতো দরিদ্রদের পাশে দাঁড়াক।’

এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহ আজিজ বলেন, ‘উপজেলার ছাতা কারিগররা চাইলে তাদের সঙ্গে বসে আলোচনা করা হবে। পরে সরকারি সহায়তা পাওয়ার উপযুক্ত হলে তাদের সহায়তার আওতায় আনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’

সো‌য়েব মেজবাহউদ্দিন/এমআই

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

ঝড় ও বৃষ্টি

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর