কালীগঞ্জে আলোচনায় ‘নিগ্রো’, ওজন ১১৫০ কেজি

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ১৫:২২

ছবি : বাংলাদেশের খবর
গাজীপুরের কালীগঞ্জে কোরবানির ঈদ ঘিরে ব্যাপক কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে ‘নিগ্রো’ নামে বিশাল আকৃতির একটি ষাঁড় । উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের খৈকড়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের বাসিন্দা জুয়েল আকন্দ (৩২) শখের বশে ষাঁড়টি লালন-পালন করেছেন।
জুয়েল জানান, প্রায় দেড় বছর আগে পাশের গ্রামের নাওয়ানের মোড় থেকে মাত্র দুই দাঁতের একটি কালো রঙের ষাঁড় কিনে আনেন তিনি। প্রাকৃতিক খাদ্য ও পরিচর্যার মাধ্যমে তিনি গড়ে তুলেছে ষাঁড়টি। যার ওজন এখন প্রায় ১১৫০ কেজি।
জুয়েল বলেন, ‘আমি নিজে ষাঁড়টির নাম দিইনি। কালো জিভ আর কুচকুচে গায়ের রঙ দেখে আশপাশের লোকজনই ওর নাম রেখেছে ‘নিগ্রো’। সেই নামেই এখন সবাই চেনে।’
ষাঁড়টিকে কোনো স্টেরয়েড বা কৃত্রিম খাবার ছাড়াই গড়ে তোলা হয়েছে বলে দাবি করেন জুয়েল। নিয়মিত ঘাস, ভুসি, ছোলা, গাজর, কলাই, খাঁটি তেল এবং দানাদার খাবারে বড় হয়েছে নিগ্রো। দিনে দুইবার গোসল করানো হয়। আর রাখা হয় পর্যাপ্ত খোলা জায়গায় চলাফেরার সুযোগসহ।
নিগ্রোকে একনজর দেখতে প্রতিদিন শত শত মানুষ ভিড় করছেন জুয়েলের বাড়িতে। কেউ ছবি তুলছেন, কেউ করছেন ফেসবুক লাইভ। স্থানীয়দের মতে, এটি যেন ঈদকে ঘিরে একটি ছোটখাটো মেলার পরিবেশ তৈরি করেছে।
ষাঁড়টির দাম ধরা হয়েছে ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। যদিও স্থানীয় পশু ব্যবসায়ীরা বলছেন, নিগ্রোর প্রকৃত মূল্য আরও বেশি হওয়া উচিত। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ক্রেতারা আগ্রহ দেখাচ্ছেন, অনেকে বুকিংও দিতে চাইছেন। তবে কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় এখনও বিক্রি হয়নি।
জুয়েল বলেন, ‘শখের বসে লালন করেছি। তাই হেলায় ছাড়তে চাই না। তবে কেউ সঠিক মূল্য দিলে নিগ্রোর রশি তার হাতেই তুলে দেব।’
স্থানীয়দের মতে, নিগ্রো শুধু একটি পশু নয়, এটি এখন খৈকড়া গ্রামের গর্ব। তারা বলছেন, ‘নিগ্রো যেমন সুস্বাস্থ্যবান, তেমনি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে বড় হয়েছে। এটি আমাদের সম্ভাবনার প্রতীক হয়ে উঠেছে।’
বাংলাদেশে কোরবানির ঈদ এলেই নানা আকৃতির ও বৈশিষ্ট্যের পশু নিয়ে মানুষের আগ্রহ দেখা যায়। এবার কালীগঞ্জে ‘নিগ্রো’ সেই আলোচনার কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে।
এআরএস