বিআরবি গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান
১০ দফা দাবিতে এমআরএস-কিয়াম মেটাল শ্রমিকদের কর্মবিরতি

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ১৬:১৬

ছবি : বাংলাদেশের খবর
কুষ্টিয়ায় আবারও দশ দফা দাবি আদায়ে কর্মবিরতি পালন করেছেন বিআরবি গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এমআরএস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শ্রমিকরা। প্রতিষ্ঠানটি প্লাইউড, পার্টিকেল বোর্ডসহ বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন করে। তাদের সঙ্গে বেতন বৃদ্ধিসহ একাধিক দাবিতে আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন কিয়াম মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শ্রমিকদের একাংশ।
সোমবার (২ জুন) সন্ধ্যা থেকে কুষ্টিয়া শহরতলীর বিসিক শিল্পনগরী এলাকার কারখানাটির প্রধান ফটকে এ কর্মসূচি শুরু হয়। মঙ্গলবার (৩ জুন) সকাল থেকে বিভিন্ন শিফটের কয়েক হাজার শ্রমিক এতে অংশ নেন। তারা জানিয়ে দেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা কাজে ফিরবেন না।
শ্রমিকদের দাবির মধ্যে রয়েছে— বেতন ও ভাতা মূল প্রতিষ্ঠান বিআরবি গ্রুপের অন্যান্য ইউনিটের সঙ্গে সমন্বয়, নিয়মিত ওভারটাইম বিল প্রদান, সরকারি ছুটির নিশ্চয়তা এবং চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে স্থায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করা।
কর্মসূচির সময় কিছু শ্রমিককে লাঠি-শোঠা হাতে উত্তেজিত অবস্থায় দেখা যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। তাদের আশ্বাসে এমআরএস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শ্রমিকরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন। তবে কিয়াম মেটালের শ্রমিকরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
এমআরএস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শ্রমিক আব্দুল করিম বলেন, ‘সোমবার সন্ধ্যা থেকে আমরা দশ দফা দাবিতে আন্দোলনে ছিলাম। কিয়াম মেটালের শ্রমিকরাও যুক্ত হন। আজ সেনাবাহিনীর আশ্বাসে আমরা জুন ক্লোজিংয়ের পর দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি পেয়ে কর্মবিরতি স্থগিত করেছি।’
এর আগে গত ৮ মে একই দাবিতে কর্মবিরতিতে গিয়েছিলেন এমআরএস শ্রমিকরা। সেদিন কর্মস্থলে উপস্থিত হলেও কেউ কাজ শুরু করেননি। মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর কর্মীরা কাজে ফেরেন। তবে ওই দিন শ্রমিকরা প্রতিষ্ঠানের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সৈয়দ আশরাফ ও রক্ষণাবেক্ষণ প্রকৌশলী মকিবুল ইসলামকে মারধর করেন বলে অভিযোগ আছে।
এ বিষয়ে জানতে এমআরএস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামসুর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘কাঁচামালের অভাবে প্রতিষ্ঠানটি মাসের অধিকাংশ দিনই বন্ধ থাকে। অথচ গ্রুপের অন্যান্য ইউনিটের শ্রমিকদের বেতন বাড়লেও এখানে বাড়েনি। এ কারণেই শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন।
আকরামুজ্জামান আরিফ/এআরএস