জমি সংক্রান্ত বিরোধ ও ধার শোধ না করায় আপন চাচা এবং মন্দিরের সেবায়েত বুদ্ধিমন্ত সরকার (৭০)–কে হত্যা করেছেন ভাতিজা লিংকন সরকার। হত্যার পর নিহতের দুই পা কেটে লাশ বস্তাবন্দি করে ফেলে দেওয়া হয় খালের পানিতে।

সোমবার (২ জুন) সকালে কোটালীপাড়া থানায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। একই দিন দুপুরে গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ড. মো. রুহুল আমিন সরকার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মামলার অগ্রগতি তুলে ধরেন।

তিনি জানান, কোটালীপাড়ার নৈয়ারবাড়ি এলাকার সদাচার সেবাশ্রম ও মন্দিরের সেবায়েত ছিলেন বুদ্ধিমন্ত সরকার। ভাই বিনয় সরকারের কাছ থেকে নেওয়া ২০ হাজার টাকা ফেরত না দেওয়ার পাশাপাশি পৈত্রিক ২০ শতাংশ জমি নিজের নামে রেকর্ড করে নেন তিনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কিশোরি লাল সরকারের ছেলে লিংকন সরকার গত বৃহস্পতিবার (৩০ মে) রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় মাথায় আঘাত করে ও শ্বাসরোধে বুদ্ধিমন্তকে হত্যা করেন।

হত্যার পর লিংকন নিহতের দুটি পা কেটে লাশ একটি বস্তায় ভরে খালের পানিতে ফেলে দেন। রোববার (১ জুন) দুপুরে রামশীল স্লুইস গেটের পাশ থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

সোমবার সকালে কোটালীপাড়ার নৈয়ারবাড়ি এলাকা থেকে লিংকন সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।