ঝিনাইদহসহ সারা দেশে জলমহাল ইজারা পদ্ধতি বাতিলসহ ৪ দফা দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন বাঁওড়ের মৎস্যজীবীরা। একই সঙ্গে তারা ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেছেন।

মঙ্গলবার (৩ জুন) বেলা ১১টার দিকে শহরের ডা. কে আহমেদ সড়কে বাংলাদেশ বাঁওড় মৎস্যজীবী আন্দোলনের জেলা কার্যালয় থেকে একটি লাল পতাকা মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে পায়রা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক নির্মল হালদার।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব সুজন বিপ্লব, জেলা সংগঠক নিত্য হালদার, বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতির জেলা সভাপতি কাজী ফারুক এবং যুব ইউনিয়নের জেলা সভাপতি আবু তোয়াব অপু।

বক্তারা বলেন, বাঁওড় জলমহালে প্রথাগত ও ন্যায্য সমাজভিত্তিক মালিকানার রাষ্ট্রীয় নিশ্চয়তা দিতে হবে। দীর্ঘদিনের শোষণ-বঞ্চনার ফলে নিঃস্ব হওয়া ভূমিহীন ও ভূমিজ মৎস্যজীবীদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য যৌথ উৎপাদন অংশীদারিত্ব ভিত্তিতে মাছ চাষে ৬০ শতাংশ মালিকানা জেলেদের এবং ৪০ শতাংশ রাষ্ট্রের হাতে রেখে একটি যৌথ মডেল চালু করতে হবে।

তাদের দাবি, সমাজভিত্তিক সমবায় মালিকানার ৪ দফা বাস্তবায়ন না হলে ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

বক্তারা আরও বলেন, নতুন দিনের বৈষম্যহীন ও অংশগ্রহণমূলক বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রেক্ষাপটে প্রান্তিক বাঁওড় মৎস্যজীবীদের জীবন-জীবিকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের দৃশ্যমান ভূমিকা প্রয়োজন।

বিক্ষোভ শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ভূমি উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।

এআরএস