মামলা থেকে নাম কাটার কথা বলে ৫ লাখ টাকা ঘুষ চাইলেন এসআই

নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ১৮:৪০

এসআই আবু জাফর মৃধা। ছবি : সংগৃহীত
নাটোরের গুরুদাসপুরে মারামারির মামলায় আমেরিকা প্রবাসী রাসেল হোসেনের নাম কেটে দেওয়ার শর্তে ৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ উঠেছে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু জাফর মৃধার বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় নাটোরের পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন রাসেলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনাকারী ব্যবস্থাপক গোলাম রাব্বি।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, গত ১৫ মে গুরুদাসপুর পৌরসভার চাঁচকৈড় বাজার এলাকায় ইটভাটা ব্যবসায়ী ফরিদ মোল্লার ছেলে রুবেল মোল্লাকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত মারধর করে। ঘটনার সময় রাসেলের এক কর্মচারী ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। পরদিন ফরিদ মোল্লা ওই মারামারির ঘটনায় আমেরিকা প্রবাসী রাসেল হোসেনকে ১ নম্বর আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান এসআই আবু জাফর মৃধা।
এরপর থেকেই এসআই আবু জাফর মৃধা প্রবাসী রাসেলের নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়ার বিনিময়ে মোটা অঙ্কের ঘুষ দাবি করতে থাকেন। গত ২ জুন রাতে তিনি ম্যানেজার গোলাম রাব্বিকে মোবাইল ফোনে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। যার মধ্যে ঈদের আগেই এক লাখ টাকা দিতে বলেন।
গোলাম রাব্বি বলেন, ‘আমি আমেরিকা প্রবাসী রাসেল ভাইয়ের ব্যবসা দেখাশোনা করি। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাকে মামলায় ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আবু জাফর মৃধা নিয়মিত হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। সোমবার রাতে ফোন করে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন এবং ঈদের আগেই এক লাখ টাকা দিতে বলেন। আমি কথোপকথনের রেকর্ড রেখে নাটোর পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’
প্রবাসী রাসেল হোসেন বলেন, ‘আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে দেশে ব্যবসা করছি। অথচ এখন আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে অপমানিত হতে হচ্ছে। তার চেয়েও ভয়ংকর—একজন দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তা ঘুষ দাবি করেছেন। আমি সরকারের কাছে, মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কাছে এবং সাংবাদিকদের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানাই।’
অভিযোগ অস্বীকার করে এসআই আবু জাফর মৃধা বলেন, ‘টাকা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না। এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’
এ বিষয়ে নাটোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দ্রুত বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মেহেদী হাসান তানিম/এআরএস