বগুড়ার শেরপুর ও নন্দীগ্রাম উপজেলার ১১ জন হজযাত্রী হজে যেতে না পেরে প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন।

ভুক্তভোগীরা জানান, 'আরমান-আবির হজ্জ সার্ভিস হাসিনা এয়ার ট্রাভেলস' নামে একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করে তারা প্রত্যেকে ৫ লাখ টাকা করে প্রদান করেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি হজের নিবন্ধন, ভিসা বা টিকিটের কোনো ব্যবস্থাই করেনি।

এ ঘটনায় শেরপুর উপজেলার দোয়ালসারা এলাকার শহিদুল ইসলাম গত ২৩ মে জেলা প্রশাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটি একাধিকবার ফ্লাইটের তারিখ বদলে সময়ক্ষেপণ করে এবং মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে শেষ পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে হজযাত্রীদের প্রতারিত করে। প্রতিষ্ঠানটির কেউ এখন আর ফোনও ধরছেন না বলে জানান ভুক্তভোগীরা।

বিশালপুর ইউনিয়নের দুবলাই গ্রামের হেলাল উদ্দীন, হাফেজ মজনু মিয়া ও মাহবুবুল আলম, এবং নন্দীগ্রামের হোসেয়ারপাড়ার মঞ্জুরুল ইসলাম ও রুহুল আমিন বলেন, তারা বিশ্বাস করে টাকা দিলেও কোনো কাগজপত্র পাননি। এখন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা গা-ঢাকা দিয়েছেন।

প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন দাবি করেন, ‘তারা ১১ জনকে ফেব্রুয়ারি মাসে অন্য একটি এজেন্সি থেকে ট্রান্সফার করার কথা ছিল। কিন্তু ট্রান্সফার না হওয়ায় এবার হজে পাঠানো যায়নি। টাকা ফেরতের ব্যবস্থা চলছে।’

এ বিষয়ে বগুড়ার জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’