কুমিল্লায় ৪০১ হাটে ঈদের আমেজ, ‘মেসি-নেইমারের’ দাম ১০-১২ লাখ

সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ, কুমিল্লা
প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ২১:৩৬

ছবি : বাংলাদেশের খবর
কোরবানির ঈদ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে জমে উঠেছে কুমিল্লার কোরবানির পশুর হাটগুলো। শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত খামার ও হাটে চলছে গরু-ছাগল কেনাবেচা। কেউ কেউ ইতোমধ্যে খামার থেকে শতভাগ বা অগ্রিম মূল্য পরিশোধ করে পছন্দের গরু বুকিং দিয়ে রেখেছেন, যা ঈদের আগে বাড়িতে নিয়ে যাবেন।
এবার কুমিল্লায় স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে মোট ৪০১টি কোরবানির পশুর হাট ইজারা দেওয়া হয়েছে। হাটগুলোতে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন।
খামারিরা জানাচ্ছেন, তাদের খামারে হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ান, জার্সি, শাহীওয়াল, দেশি রেড চিটাগংসহ বিভিন্ন জাতের গরু প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে লালনপালন করা হয়েছে। এসব গরুর নাম রাখা হয়েছে ‘হিরো আলম’, ‘মেসি’, ‘বাহুবলী’, ‘নেইমার’, ‘যুবরাজ’, ‘সুলতান’ ইত্যাদি।
খামারগুলোতে ১৫-২০ দিন আগ থেকেই গরু বুকিং শুরু হয়েছে। সীমান্তে কড়াকড়ি থাকায় ভারত থেকে অবৈধভাবে গরু প্রবেশ করতে না পারায় দেশি খামারিরা ভালো দামে গরু বিক্রির আশা করছেন।
মঙ্গলবার (৩ জুন) থেকে জেলার বিভিন্ন পশুর হাটে বড় আকৃতির গরু তোলা শুরু করেছেন খামারিরা। কেউ কেউ খামার সংলগ্ন স্থানে প্যান্ডেল করে বিক্রিও শুরু করেছেন। এক লাখ থেকে শুরু করে ১০-১২ লাখ টাকা দামের গরু রয়েছে এসব হাটে।
বিক্রেতারা জানিয়েছেন, মাঝারি আকারের দেশি গরুর চাহিদা বেশি। বৃষ্টি ও কর্দমাক্ত পরিবেশের কারণে হাটে কিছুটা সমস্যা হলেও বেচাবিক্রি শুরু হয়ে গেছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা চন্দন কুমার পোদ্দার বলেন, জেলার ৩৬ হাজার খামারির কাছে যে পশু রয়েছে, তা দিয়ে জেলার চাহিদা পূরণ করেও ২৩ হাজারের বেশি পশু উদ্বৃত্ত থাকবে। এবারে কুমিল্লায় চোরাকারবারিরা ভারতীয় গরু প্রবেশ করাতে পারেনি, তাই দেশি গরুই ভরসা। খামারিরা লাভবান হবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান বলেন, হাটে কোনো ধরনের অনিয়ম, চাঁদাবাজি বা হয়রানি বরদাশত করা হবে না। জাল নোট শনাক্তে থাকছে বিশেষ মেশিন। নিরাপত্তায় থাকবে টহল পুলিশ, গোয়েন্দা নজরদারি ও কন্ট্রোলরুম।