মিঠাপুকুরে গরুর হাটে উপচে পড়া ভিড়, ৮০০ কোটি টাকা লেনদেনের আশা

মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ১৭:২০

ছবি : বাংলাদেশের খবর
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে রংপুরের মিঠাপুকুরে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে প্রাকৃতিক উপায়ে লালন-পালন করা কোরবানির উপযুক্ত পশুর সংখ্যা ৮৬ হাজার ৬৪১টি।
এর মধ্যে ষাঁড়, বলদ ও গাভীর সংখ্যা ৩০ হাজার ৬১১টি; ছাগল ৫২ হাজার ৮১৪টি এবং ভেড়া ও অন্যান্য প্রজাতির পশু রয়েছে ৩ হাজার ২১৬টি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর মিঠাপুকুর উপজেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা প্রায় ৬৩ হাজার ৮৬টি। ফলে উদ্বৃত্ত রয়েছে প্রায় ২৩ হাজার ৫৫টি পশু। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, সব পশু বিক্রি হলে স্থানীয় অর্থনীতিতে প্রায় ৮০০ কোটি টাকার লেনদেন হতে পারে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার শঠিবাড়ী হাট, মিঠাপুকুর গোসাই হাট, শুকুরের হাট, শাল্টির হাট, পদাগঞ্জ, বালার হাট, জায়গীর হাট, মির্জাপুর ও বৈরাতী হাটসহ বিভিন্ন স্থানে চলছে গরু-ছাগল বেচাকেনা। উদ্বৃত্ত পশুগুলো স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে পাঠানো হচ্ছে আশপাশের পীরগঞ্জ, তারাগঞ্জ, বদরগঞ্জ, লালবাগ, নবাবগঞ্জ, বিরামপুর, ঘোড়াঘাট, পার্বতীপুর ও ফুলবাড়ীর বড় বাজারগুলোতে।
স্থানীয় গরু ব্যবসায়ী আক্কাস মণ্ডল ও দুদু মিয়া জানান, ‘মিঠাপুকুরের গরু-ছাগল ঘরোয়া ও প্রাকৃতিক উপায়ে পালিত হওয়ায় বাইরের হাটে এর চাহিদা বেশি। এসব পশু নিয়ে বাজারে গেলে খুব বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয় না। সলিড গরুর চাহিদা বেশি, আর এই এলাকার পশু সাধারণত স্বাস্থ্যবান ও সুস্থ।’
মাঝারি খামারিরা জানিয়েছেন, ‘পশুখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় খরচ বেড়েছে, কিন্তু বাজার সেই অনুপাতে ভালো যাচ্ছে না। তবে কোনোমতে পোষাচ্ছে। খামারি রবিউল মিয়া, তৈয়ব আলী, মওলা ও রাখিব মিয়া বলেন, ‘এবার বড় গরুর চাহিদা তুলনামূলক কম। ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর দিকে বেশি আগ্রহ ক্রেতাদের। এতে অনেক খামারি দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।’
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আলতাব হোসেন বলেন, ‘প্রতিটি হাটে আমাদের ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম কাজ করছে। স্টেরয়েডবিহীন গরু মোটাতাজাকরণ, ল্যাম্পি স্কিন রোগ প্রতিরোধ ও পশুপালনের সঠিক পদ্ধতি নিয়ে আমরা সচেতনতা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।’
তিনি আরও জানান, ‘আজ জায়গীর হাট পরিদর্শনে এসেছি। সঙ্গে ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মুলতামিস বিল্লাহ ও মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। হাটগুলো সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।’
এআরএস