আলফাডাঙ্গায় শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট

আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ২০:২৮
-6840581ef316f.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
আর মাত্র দুই দিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। শেষ মুহুর্তে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। গত কয়েক দিন হাটগুলোতে তেমন একটা মানুষের আনাগোনা না থাকলেও ঈদ ঘনিয়ে আসায় ক্রেতারা ভিড় করছেন পশুর হাট গুলোতে। প্রতিদিন পশুরহাট গুলোতে প্রচুর গরু ওঠতে দেখা গেছে।
তবে এ বছর হাটে গরুর আমদানি বেড়েছে। বড় গরু থাকলেও ছোট গরুর চাহিদা অনেক। চাহিদা অনুযায়ী ছোট গরুর দামও তুলনামূলক বেশি। খামারিরা বলছেন, খাবারের দাম ও অন্যান্য জিনিসের দাম বাড়ায় গরু-ছাগলের দামও এবার বেশি।
বুধবার (৪ জুন) দুপুরে উপজেলার সবচেয়ে বৃহৎ জাটিগ্রাম পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, পছন্দের পশুটি কিনতে অনেকেই এসেছেন হাটে, কেউ একা এসেছেন, কেউ এসেছেন দলবেঁধে। যেন তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না এ হাটটিতে। চারপাশে গরুর ডাক, দরদাম আর ক্রেতাদের আনন্দ; সব মিলিয়ে এক উৎসবের আবহ। ক্রেতা-বিক্রেতাদের এই উপস্থিতি যেন ঈদ উৎসবেরই অংশ। দাম যাই হোক শেষ পর্যন্ত পছন্দের পশুটি কিনে বাড়ি ফিরছেন অধিকাংশ ক্রেতা।
এই হাটে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থেকে গরু বিক্রি করতে আসা আবু বক্কর জানান, পশু খাদ্যর দাম বেড়েছে। খড়ের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। গো খাদ্যের দাম বাড়ার কারণে গরুর দাম বেড়েছে। গরু কিনতে আসা রাজু শেখ নামে এক ক্রেতা জানান, যা দেখলাম গরুর দাম সহনীয় পর্যায়েই আছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ভবেন বাইন বলেন, উপজেলায় এবছর কোরবানির পশুর চাহিদার তুলনায় প্রস্তুতকৃত পশুর সংখ্যা বেশি। খামারিও বেড়েছে। খামারিরা দেশীয়জাতের পশু লালন পালন করেছেন বেশি। হাটে হাটে এখন পশু কেনাবেচা চলছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে প্রতিটি হাটে একটি করে মেডিকেল টিম রয়েছে তদারকি করার জন্য।
আলফাডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজন বিশ্বাস বলেন, হাটে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। অনিয়ম বা বিশৃঙ্খলার কোন ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সব মিলিয়ে ঈদুল আজহার আগে আলফাডাঙ্গায় কোরবানির পশুর হাটগুলোতে অভাবনীয় প্রাণচাঞ্চল্য পরিলক্ষিত হচ্ছে। পর্যাপ্ত সরবরাহ, তুলনামূলক স্বাভাবিক দাম এবং প্রশাসনিক নিরাপত্তার কারণে বিক্রেতা ও ক্রেতা উভয়ই সন্তুষ্ট।
এআরএস