নাটোরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩, আহত ১০

নাটোরের বড়াইগ্রাম ও সদর উপজেলায় একই রাতে ও ভোরে তিনটি পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। পুলিশ বলছে, বেপরোয়া গতি, নিয়ন্ত্রণ হারানো ও দুর্বল সড়ক ব্যবস্থাপনা এসব দুর্ঘটনার প্রধান কারণ।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে বড়াইগ্রামের গুনাইহাটি এলাকায় নাটোর-পাবনা মহাসড়কে চিনিবাহী একটি ট্রাকের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা কাভার্ড ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

এতে কাভার্ড ভ্যানের চালক, বগুড়ার আদমদিঘী উপজেলার জুয়েল মণ্ডল ঘটনাস্থলেই মারা যান। তার সহকারীকে গুরুতর অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, ভেজা রাস্তায় উভয় চালকই নিয়ন্ত্রণ হারান

একই সময়ে সদর উপজেলার বারুরহাট এলাকায় মংলা থেকে ছেড়ে আসা নীলফামারীগামী বিআরটিসির একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে যাত্রী আক্তারুজ্জামান (৪২) ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। আহতদের মধ্যে অন্তত ১০ জনকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাঁক ঘোরার সময় বাসটির গতি ছিল অস্বাভাবিক।

এর আগে বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নাটোর সদরের দত্তপাড়া মোড়ে একটি পিকআপভ্যানকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় একটি যাত্রীবাহী বাস। এতে পিকআপের সহকারী পাবনার রবিউল ইসলাম (৩০) নিহত হন।

বনপাড়া হাইওয়ে থানার পরিদর্শক মাহবুব রহমান বলেন, ‘চালকদের ক্লান্তি, অতিরিক্ত গতি ও ফিটনেসবিহীন যানবাহন সড়ক দুর্ঘটনার পেছনে বড় কারণ। কঠোর আইন প্রয়োগ ও নিয়মিত তদারকির মাধ্যমে দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব।’

স্থানীয়রা জানান, মহাসড়কের সংযোগ সড়কগুলোতে গর্ত ও সঠিক সড়কচিহ্নের অভাবও দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

মেহেদী হাসান তানিম/এআরএস