
ছবি : বাংলাদেশের খবর
নাড়ীর টানে ঈদে ছুটিতে বাড়ি ফিরছে মানুষ। গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত যানবাহনের পাশাপাশি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ খোলা ট্রাক ও পিকআপভ্যানে করে গন্তব্যে যাচ্ছেন। এতে তীব্র যানজটের পাশাপাশি প্রচণ্ড দের পর মুষলধারে বৃষ্টিতে ভিজে গিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছেন ঘরমুখো মানুষ।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত এ অঞ্চলে মুষলধারে বৃষ্টি হয়। এর আগে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রচণ্ড রোদে ও গরমে ঘরমুখো মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেন।
জানা গেছে, রাজধানীতে যানবাহনের কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে। এ কারণে ঘরমুখো মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খোলা ট্রাক ও পিকআপভ্যানে গন্তব্যে যাচ্ছে। ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে তীব্র যানজটের পাশাপাশি প্রচণ্ড রোদের পর বৃষ্টিতে ভিজে গিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছেন মানুষ। শরীরের কাপড়সহ অনেকের টাকা, মোবাইল ও মালামাল ভিজে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বিশেষ করে নারী, শিশু ও বয়স্ক মানুষদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বেশি।
এদিকে, অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ ও যমুনা সেতু সংযোগ সড়কে রাতে একাধিক গাড়ি বিকল হওয়ায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে থেমে থেমে চলছে যানবাহন। বর্তমানে মহাসড়কের রাবনা বাইপাস থেকে যমুনা সেতু পূর্বপাড় পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানবাহনের ধীরগতি রয়েছে। আবার কোথাও কোথাও থেমে থেমে চলছে গাড়ি।
অপরদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা সেতু দিয়ে ৫১ হাজার ৮৪৮টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৫৯ লাখ ৮৩ হাজার টাকা।
মহাসড়কের এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্ম শরীফ জানান, ‘সড়কে গাড়ির ধীরগতি রয়েছে। তবে কোথাও থেমে নেই। এখনও গাড়ির চাপ রয়েছে।’
রেজাউল করিম/এমআই