খুলনার কয়রায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে এক আইনজীবীকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বিকেলে কয়রা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন কয়রার বাসিন্দা ও খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবু বকর সিদ্দিক।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, কয়রার এক বহিষ্কৃত বৈছাআ নেতাসহ আওয়ামী ঘরানার একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া তথ্য, ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে আমাকে ‘আওয়ামী দোসর’ বলে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি পেশাগতভাবে সাত বছর ধরে খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হিসেবে সততা ও সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছি।

তিনি বলেন, কয়রার এক সহকর্মী আইনজীবী দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। আমাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়, আমি একজন আইনজীবী হিসেবে সেখানে উপস্থিত হই। অথচ সেই অনুষ্ঠানের একটি সাধারণ ছবি ব্যবহার করে আমাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাজনৈতিক অপপ্রচারের লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে।

আবু বকর সিদ্দিক আরও বলেন, ‘আমি ছাত্রজীবনে কোনো সময় আওয়ামী লীগ বা তাদের সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। বরং আমি ২০০৭ সালে ছাত্রশিবিরের কয়রা কপোতাক্ষ কলেজ শাখার সভাপতি ছিলাম। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে যেসব পরিবার পুলিশি হয়রানির শিকার হয়েছেন, তাদের পাশে বিনা পয়সায় দাঁড়িয়েছি। সম্প্রতি জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পরেও একইভাবে নিপীড়িতদের আইনগত সহায়তা দিচ্ছি। বর্তমানে কয়রা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আওয়ামী ঘরানার লোকজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা ২৬টির বেশি মামলায় আমি আইনজীবী হিসেবে কাজ করছি।’

তিনি অভিযোগ করেন, কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি আপত্তিকর ভিডিও নিয়ে তিনি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। ডায়েরি নম্বর ৩৫৯, তারিখ ৯ এপ্রিল ২০২৫। এর আগেও এ বিষয়ে সাইবার ক্রাইম ইউনিটে অভিযোগ দিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করেছিলেন। কিন্তু প্রতিহিংসাপরায়ণ মহল আবারও সেটি ছড়িয়ে তাকে মানসিক ও পেশাগতভাবে হয়রানি করছে।

তরিকুল ইসলাম/এআরএস