Logo

সারাদেশ

আখাউড়া-কসবা সড়কে দুটি ঝুঁকিপূর্ণ সেতু, একটিতে যান চলাচল বন্ধ

Icon

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫, ১৯:১৮

আখাউড়া-কসবা সড়কে দুটি ঝুঁকিপূর্ণ সেতু, একটিতে যান চলাচল বন্ধ

ছবি : বাংলাদেশের খবর

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া-কসবা সড়কের দুটি সেতু ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। টানা ভারি বর্ষণ ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের তোড়ে সেতুগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে একটি সেতু দেবে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকাল থেকে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

সেতুটি আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ও মনিয়ন্দ ইউনিয়নের সংযোগস্থলে কাকিনা খালের ওপর নির্মিত। সেতুর মাঝ বরাবর অংশ দেবে যাওয়ায় এটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। এর ফলে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং যাত্রীদের বিকল্প সড়ক ব্যবহারের অনুরোধ জানানো হয়।

অপর ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি পৌর শহরের দেবগ্রাম এলাকায়। এই সেতুর এক পাশে রাস্তার মাটি সরে গেছে এবং গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যা সেতুটিকেও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে।

দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিএম রাশেদুল ইসলাম ও উপজেলা প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. আকরাম হোসেন বলেন, ‘সকালে হাঁটতে গিয়ে দেখি ব্রিজটি দেবে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে রাতে কোনো ভারী যানবাহনের কারণে এমনটা হয়েছে।’

অটোরিকশাচালক মো. আবু মিয়া বলেন, ‘সকালে যাত্রী নিয়ে ইমামবাড়ি যাওয়ার পথে দেখি ব্রিজ দেবে গেছে। পরে ঘুরপথে যেতে হয়, এতে সময়ও বেশি লাগে।’

সিএনজিচালক মো. বাবুল মিয়া বলেন, ‘ব্রিজটি বন্ধ থাকায় ৭-৮ কিলোমিটার ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে। দ্রুত নতুন ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানাই।’

যাত্রী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ব্রিজ বন্ধ থাকায় ধরখার সড়ক হয়ে কসবা যেতে হয়েছে। এতে দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হয়েছে।’

উপজেলা প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘রাতের বেলায় ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে কাকিনা খালের ব্রিজটি দেবে গেছে। মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে পাশেই বাঁশের সাঁকো তৈরির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও জানান, সেতুটির দৈর্ঘ্য ৩০ মিটার। ঈদের ছুটি চলায় সেতুটি কখন নির্মিত হয়েছে এবং নির্মাণ ব্যয় কত ছিল, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। বিষয়টি সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

ইউএনও জিএম রাশেদুল ইসলাম বলেন, “জনস্বার্থে সেতুর ওপর দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। গাঙ্গাইল ও ধরখার সড়ক বিকল্প হিসেবে ব্যবহারের অনুরোধ করা হয়েছে। ঈদের ছুটি শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

কাজী মফিকুল ইসলাম/এআরএস

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

জনদুর্ভোগ

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর