ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল আযহা

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৫, ১০:৫২
-6842740868ca4.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলায় আগাম ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করেছেন কয়েকটি গ্রামের শতাধিক ধর্মপ্রাণ মুসল্লি।
শুক্রবার (৬ জুন) সকাল ৮টায় হরিণাকুণ্ডু উপজেলা শহরের ফুটবল মাঠে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মাওলানা রেজাউল ইসলাম।
ঈদ জামায়াত কমিটির আয়োজনে এবার হরিণাকুণ্ডু ছাড়াও পার্শ্ববর্তী দখলপুর, নারায়নকান্দি, বৈঠাপাড়া, বোয়ালিয়া, চটকাবাড়ীয়া, পারফলসী, পায়রাডাঙ্গা এবং শৈলকুপার ভাটই বাজার এলাকার মুসল্লিরা অংশ নেন।
আয়োজকেরা জানান, ২০০৩ সাল থেকে সৌদির সময়সূচির সঙ্গে মিল রেখে এ ঈদ জামাতের আয়োজন চলছে।
ঈদ জামায়াত কমিটির সদস্য শাখাওয়াত হোসেন বলেন, আগে ঈদের জামাত করতে হলে থানা থেকে অনুমতির জন্য চিঠি পাঠাতে হতো। এখন শুধু ফোনে জানালেই হয়। শুরুতে কিছুটা ভয়ভীতির মধ্যে থাকলেও এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
২০০৩ সাল থেকেই এই জামাতে অংশ নেওয়া মো. হারুনুর রশিদ জানান, প্রথমে শুধু হরিণাকুণ্ডু শহরে জামাত হতো। এখন পায়রাডাঙ্গা ও নিত্যনন্দনপুরসহ তিনটি স্থানে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
ভাটই বাজার থেকে আসা নজরুল ইসলাম বলেন, ২০১৩ সাল থেকে এখানে ঈদের নামাজ পড়তে আসছি। তখন নানা কথা শুনতে হতো। এখন আর কেউ কিছু বলে না।
রামচন্দ্রপুর কাদীখালি থেকে একাই ঈদের নামাজ পড়তে আসা মো. শাহিন আহমেদ বলেন, পরিবারের কেউ সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঈদ পালন না করলেও আমি করি। আশা করি ভবিষ্যতে পরিবারের সবাই একমত হবেন।
ঈদ আয়োজন কমিটির সভাপতি আ ন ম বজলুর রহমান বলেন, ওআইসি ভুক্ত মুসলিম দেশগুলো ঈদ উদযাপন করছে। আমরা রাসুল (সা.)-এর সুন্নাহ অনুসরণ করে ঈদের জামাত করেছি।
ঈদ নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। খুতবায় কোরবানির তাৎপর্য ও আত্মত্যাগের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।
ঈদের দিন নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে হরিণাকুণ্ডু থানার এসআই শিমুল বলেন, সমাজে ভিন্ন মতের মানুষ থাকতেই পারে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমরা মাঠে রয়েছি।
উল্লেখ্য, ঈদুল আযহা উপলক্ষে জেলার বিভিন্ন স্থানে কোরবানির পশু জবাই করে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় মুসল্লিরা পশু কোরবানি দেন।
এমএইএস
প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন
সম্পর্কিত
পঠিত
মন্তব্য করুন