ফরিদপুরের ৭ গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে

আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৫, ১৫:২৪
-6842b3cc639f2.jpg)
সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রূপাপাত ইউনিয়নের সাতটি গ্রামের মানুষ আজ শুক্রবার (৬ জুন) ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন।
সকাল থেকে বিভিন্ন স্থানে ধাপে ধাপে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৯টায় শেখর ইউনিয়নের রাখালতলি ঈদগাহ ময়দানে, সকাল সাড়ে ৮টায় ও সাড়ে ৯টায় মাইটকুমরা জামে মসজিদ ও মাইটকুমরা লস্করবাড়ি জামে মসজিদে এবং সকাল ১০টায় সহস্রাইল দায়রা শরীফে নামাজ আদায় করেন স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
ঈদের নামাজ শেষে মুসল্লিরা কোরবানির আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন। বিশেষ করে সহস্রাইল দায়রা শরীফে নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লিদের জন্য খাবারের ব্যবস্থাও করেছে মসজিদ কমিটি। সেখানে ঈদের ইমামতি করেন আলফাডাঙ্গার ধলাইরচর দরবার শরীফের পীর মুহাদ্দিস মুফতি রাকীবুল হাসান রাকীব।
তিনি বলেন, যেহেতু গতকাল সৌদি আরবে ইয়াওমে আরাফাহ পালিত হয়েছে, তাই আজ ১০ জিলহজ — আমরা ঈদের নামাজ আদায় করেছি। ইসলামি শরিয়তের আলোকে, তিন মাজহাবের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অনুসারে আমল করছি। সময়ের পার্থক্য থাকলেও দিনের পার্থক্য নেই, চাঁদের অবস্থানই তারিখ নির্ধারণ করে।
চট্টগ্রামের মির্জাখিল শরীফ ও পীর হযরত ইয়াসিন আলী (রহ.)-এর অনুসারীরা দীর্ঘদিন ধরে সৌদি সময় অনুসারে আগাম রোজা ও ঈদ পালন করে আসছেন। এ ধারাবাহিকতায় এবারও কাটাগড়, সহস্রাইল, দরিসহস্রাইল, মাইটকুমড়া, রাখালতলি, গঙ্গানন্দপুরসহ শেখর ও রূপাপাত ইউনিয়নের অন্তত সাতটি গ্রামের মানুষ আগাম ঈদ উদযাপন করেছেন।
স্থানীয় কলেজ শিক্ষক ও দায়রা শরীফের সমন্বয়কারী মো. মাহিদুল হক বলেন, আমরা প্রতি বছর সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করি। এটি আমাদের বিশ্বাস ও ধর্মীয় উপলব্ধি থেকে করা হয়ে থাকে।
শেখর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও সহস্রাইল পাবলিক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইস্রাফিল মোল্লা বলেন, ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি, এ অঞ্চলের মানুষ সৌদি আরবের সময় অনুযায়ী আগাম রোজা ও ঈদ পালন করে। এটি এখানকার দীর্ঘদিনের ধর্মীয় ঐতিহ্য।
এমএইচএস