-6843ba808150a.jpg)
খাগড়াছড়িতে ঈদের নামাজ শেষে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। ছবি : বাংলাদেশের খবর
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য, উৎসবের আনন্দ আর আত্মত্যাগের অনুপম আদর্শ ধারণ করে সারাদেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত। রাজধানী থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে লাখো ধর্মপ্রাণ মুসলমান সকাল থেকেই ঈদগাহ ময়দানে বা মসজিদে সমবেত হন ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য। নামাজ শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ এবং ফিলিস্তিনসহ সারা বিশ্বের নির্যাতিত মানুষের মুক্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত হয় দেশের প্রধান ঈদের জামাত। এতে অংশ নেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, সরকারের উপদেষ্টারা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিক ও সাধারণ মানুষ। বায়তুল মোকাররম মসজিদের খতিব মুফতি আবদুল মালেক জামাতে ইমামতি করেন এবং দেশ ও জাতির শান্তি কামনায় মোনাজাত পরিচালনা করেন।
এদিকে খাগড়াছড়ির কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে ৭টায়। এতে ইমামতি করেন খাগড়াছড়ি কেন্দ্রীয় শাহী জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন আল কাদেরী। জামাতে অংশ নেন সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূঁইয়া, জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার, বন কর্মকর্তা মো. ফরিদ মিঞাসহ হাজারো মানুষ। নামাজ শেষে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। জেলার ৯ উপজেলার মোট ২৯১টি ঈদগাহে ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
ঝিনাইদহে সকাল ৭টায় অনুষ্ঠিত হয় জেলার ১০৭তম ঈদুল আজহার প্রধান জামাত। উজির আলী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে আয়োজিত এ জামাতে ইমামতি করেন ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব মো. সাইদুর রহমান। প্রায় ১৫ হাজার মুসল্লির অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত জামাতে জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল, বিএনপি সভাপতি আব্দুল মজিদ, জামায়াত নেতা আবু বক্করসহ রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। জামাত শেষে দেশ ও মুসলিম বিশ্বের শান্তি, বিশেষ করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য মোনাজাত করা হয়।
সারাদেশেই শান্তিপূর্ণভাবে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের তৎপরতায় নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয় ঈদের অন্যতম প্রধান এই ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা।