Logo

সারাদেশ

চরফ্যাসনে পর্যটকের ঢল, মুখরিত জ্যাকব টাওয়ার ও কুকরি-মুকরি

Icon

এম ফাহিম, চরফ্যাশন (ভোলা)

প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২৫, ১১:২৪

চরফ্যাসনে পর্যটকের ঢল, মুখরিত জ্যাকব টাওয়ার ও কুকরি-মুকরি

ছবিটি চরফ্যাশনের ফ্যাশন স্কয়ার থেকে তোলা। ছবি : বাংলাদেশের খবর

ভোলা জেলার চরফ্যাশনের দর্শনীয় স্থানগুলোতে ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে। জ্যাকব টাওয়ার, শিশু ও বিনোদন পার্ক, ফ্যাশন স্কয়ার এবং ‘বালিদ্বীপ’ খ্যাত কুকরি-মুকরি দ্বীপে মুখরিত হয়ে ওঠে ভ্রমণপিপাসুদের পদচারণা।

দক্ষিণ এশিয়ার সর্বোচ্চ ওয়াচ টাওয়ার হিসেবে খ্যাত জ্যাকব টাওয়ারে উঠে আকাশ ছোঁয়ার অনুভব নিচ্ছেন পর্যটকরা। বৈরী আবহাওয়াও থামাতে পারেনি তাদের। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, ঈদ উপলক্ষে বিনোদনকেন্দ্রগুলো নতুন সাজে সজ্জিত হয়েছে। যুক্ত করা হয়েছে আধুনিক রাইডস এবং নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর কুকরি-মুকরি দ্বীপের ম্যানগ্রোভ বন, বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য, বালুকাবেলা ও নিরিবিলি পরিবেশ ভ্রমণকারীদের আকর্ষণ করছে। এই দ্বীপে রয়েছে দেশসেরা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, সর্পিল লেক, সামুদ্রিক হাওয়া ও হরিণসহ নানা বন্যপ্রাণী।

ভোলার কুকরি-মুকরিতে পর্যটকদের জন্য আধুনিক রেস্ট হাউস, ১৮টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ, সুইমিং পুল, হেলিপ্যাড, টেনিস কোর্ট এবং কটেজ নির্মাণ করা হয়েছে।

চরফ্যাশনের কেন্দ্রস্থলে নির্মিত হয়েছে ২২৫ ফুট উঁচু জ্যাকব টাওয়ার, যা সম্পূর্ণ স্টিলের তৈরি এবং ৮ মাত্রার ভূমিকম্প সহনীয়। রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আমদানি করা ক্যাপসুল লিফট, স্বচ্ছ কাঁচের দেয়াল ও উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন বাইনোকুলার। এখান থেকে পর্যটকরা দূর বঙ্গোপসাগর, কুকরি-মুকরি ও তারুয়া উপভোগ করতে পারেন।

টাওয়ারের প্রবেশ মূল্য ১০০ টাকা এবং শিশু পার্কের ২০ টাকা। শিশুদের জন্য ট্রেন, দোলনা, নাগরদোলা, পঙ্খিরাজসহ বিভিন্ন রাইডস রয়েছে। টাওয়ারের পাশে ফ্যাশন স্কয়ারে তৈরি হয়েছে দেশের অন্যতম বড় সুইমিং পুল এবং ২০ হাজার ধারণক্ষমতার মিউজিক্যাল ফোয়ারা স্কয়ার।

চরফ্যাশন পৌরসভার প্রশাসক রাসনা শারমিন মিথি জানিয়েছেন, ‘ভ্রমণ নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ রাখতে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পর্যটকদের জন্য কোন ঝুঁকি নেই।’

এআরএস

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

ঈদুল আজহা আবহাওয়া

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর