ঈদের ছুটিতে কুয়াকাটায় আনন্দের ঢেউ

জাকারিয়া জাহিদ, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
প্রকাশ: ০৮ জুন ২০২৫, ১৪:১৩
-6845463c80fe5.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
ঈদের ছুটি মানেই আনন্দ, অবকাশ আর প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটানোর অপার সুযোগ। সেই আনন্দ যদি মিশে যায় সাগরের ঢেউ, সূর্যোদয় আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে—তাহলে তা হয়ে ওঠে এক স্বপ্নময় অভিজ্ঞতা। ঠিক এমনই চিত্র দেখা গেছে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে।
পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি, সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটি মিলিয়ে বিরল ১০ দিনের টানা অবকাশে কুয়াকাটা সৈকত রূপ নিয়েছে উৎসবের এক রঙিন মেলায়। ঈদের দ্বিতীয় দিন (রোববার, ৮ জুন) সকাল থেকেই হাজারো মানুষের ঢল নামে সাগরপাড়ে। পরিবার, বন্ধু কিংবা প্রিয়জনদের সঙ্গে ছুটে এসেছেন সবাই প্রকৃতির ছায়ায় স্বস্তি খুঁজতে।
বরিশাল, ভোলা, ঝালকাঠি, বরগুনা ও পটুয়াখালীসহ আশপাশের জেলা থেকে পর্যটকরা ভিড় করছেন কুয়াকাটায়। আনন্দভ্রমণের ঢেউ আছড়ে পড়েছে পুরো উপকূলে। সৈকতের প্রতিটি প্রান্তে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়েছে পরিবেশ।
লেম্বুর বন, শুঁটকি পল্লি, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি ও বৌদ্ধবিহার—সব স্পটেই পর্যটকদের ভিড়। কেউ সাঁতার কাটছেন, কেউ ঢেউয়ের গর্জনে মুগ্ধ, কেউ আবার সূর্যাস্তের রঙে হারিয়ে যাচ্ছেন অন্য জগতে। ছোটরা ঘোড়ার গাড়িতে, বড়রা ইজিবাইক কিংবা মোটরবাইকে সৈকতভ্রমণে ব্যস্ত।
ভ্রমণপিয়াসু রাকিব রায়হান এসেছেন ঝালকাঠি থেকে। তিনি বলেন, ‘সকালে বন্ধুদের নিয়ে কুয়াকাটায় এসেছি। সাগরের ঢেউয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছি, সময়টা স্বপ্নের মতো কেটেছে।’
বরিশাল থেকে আসা রিফাত-রিংকি দম্পতির ভাষ্য, ‘আমরা প্রায়ই কুয়াকাটায় আসি। সমুদ্রের ধারে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় বা সূর্যাস্ত দেখা আমাদের কাছে কখনো পুরনো হয় না। এখানকার পরিবেশ মানসিক প্রশান্তি আনে।’
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইব্রাহিম ওয়াহিদ বলেন, ‘ঈদের ছুটিকে ঘিরে পর্যটকদের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। আগামীকাল রোববার (৯ জুন) আরও বেশি পর্যটকের আগমন আশা করছি।’
এমন ভিড় সামাল দিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘সৈকতের গুরুত্বপূর্ণ সব স্থানে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি থানা, নৌ ও ডিবি পুলিশও দায়িত্ব পালন করছে। পর্যটকরা নিশ্চিন্তে ও নিরাপদে আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন।’
এআরএস