-68454b3af354c.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার জৈলগাঁও ইউনিয়নের কুকরাই গ্রামে পবিত্র ঈদুল আজহার দিনে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (৭ জুন) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার কুকরাই গ্রামে তুচ্ছ কথাকাটাকাটিকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুকরাই গ্রামের ফকির বাড়ি ও কাইয়া বাড়ির লোকজনের মধ্যে পূর্ব বিরোধ ছিল। সেই জের ধরেই একপক্ষের একজন অন্যপক্ষের একজনকে প্রকাশ্যে থাপ্পড় মারেন। এ ঘটনার পর পরই দুই পক্ষের লোকজন জড়ো হয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্রসহ উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে, যা কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে।
সংঘর্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, লাঠিচার্জ ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার পর পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রাশেদ মিয়া বলেন, ‘ঈদের দিনে এমন ঘটনা খুবই দুঃখজনক। পরিবার নিয়ে আতঙ্কে পড়েছিলাম।’
ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আয়েশা খাতুন বলেন, ‘তুচ্ছ বিষয়ে হাতাহাতি এতদূর যাবে—কেউ ভাবেনি।’
এই ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঈদের দিনে এমন সংঘর্ষ জেলার সার্বিক সামাজিক শান্তির জন্য অশনি সংকেত বলেই মনে করছেন সচেতন মহল। প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ ও স্থানীয়দের সহনশীলতা বজায় রাখাই ভবিষ্যতের শান্তি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ।
বাজিতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুরাদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। ঘটনার তদন্ত চলছে, তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এআরএস