Logo

সারাদেশ

যাদুকাটা নদীতে সেতুর দাবিতে মানববন্ধন

Icon

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২৫, ১৭:১০

যাদুকাটা নদীতে সেতুর দাবিতে মানববন্ধন

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের যাদুকাটা নদীর ওপর নির্মিতব্য সেতুর নির্মাণকাজ পুনরায় শুরু ও দ্রুত সম্পন্ন করার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।

সোমবার (৯ জুন) সকাল ১১টায় সেতুর পশ্চিম পাড়ে গড়কাটি গ্রামের পাশে আয়োজিত এ মানববন্ধনে অংশ নেন আশপাশের ঘাগটিয়া, গড়কাটি, সুন্দর পাহাড়ি, জালরটেক, মানিগাঁও আদর্শ গ্রাম, জামবাগ, বাদাঘাট, মোল্লাপাড়া ও কামড়াবন্দ গ্রামের কয়েকশ মানুষ।

স্থানীয় ঘাগটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পবিত্র কুমার রায়ের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাত বছর আগে উদ্বোধন হলেও এখনো নির্মাণ শেষ হয়নি এই সেতুর। সেতুটিকে তারা ‘স্বপ্নের সেতু’ বলে উল্লেখ করেন। তাদের দাবি, এই সেতু চালু হলে লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াত সহজ হবে, বাঁচবে সময় ও খরচ। উপকৃত হবেন পর্যটকরাও।

মানববন্ধনে বক্তৃতা দেন পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাসমির রেজা, লেখক ও সমাজকর্মী আবুল হোসেন, গণকল্যাণ ফাউন্ডেশন তাহিরপুরের সভাপতি সারোয়ার হাসান, তাহিরপুর ছাত্রকল্যাণ পরিষদের এমসি কলেজ শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুর উদ্দিন এবং সুন্দর পাহাড়ি গ্রামের প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম।

বক্তারা জানান, ২০১৮ সালের ১২ এপ্রিল যাদুকাটা নদীর ওপর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় ৭৫০ মিটার দীর্ঘ এই সেতুর। শাহ আরেফিন (র.) ও অদ্বৈত মহাপ্রভুর নামে নামকরণকৃত এ মৈত্রী সেতু সুনামগঞ্জ সীমান্ত সড়ক প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই সড়ক সম্পূর্ণ হলে তাহিরপুর, মধ্যনগর, ধর্মপাশা ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার মানুষের ঢাকা ও নেত্রকোনার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হবে।

তারা আরও বলেন, ইতোমধ্যে মহিষখলা পর্যন্ত সড়ক সম্পন্ন হয়েছে। যাদুকাটা পাড় থেকে মহিষখলা পর্যন্ত সংযোগ স্থাপন হলেই সীমান্ত সড়ক কার্যকরভাবে চালু হবে। প্রকল্পের আওতায় হাজার কোটি টাকার অবকাঠামো বাস্তবায়িত হচ্ছে, অথচ এই একটি সেতু নির্মাণ না হওয়ায় প্রকল্পটি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে পবিত্র কুমার রায় বলেন, “এই রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ ও লাখ লাখ পর্যটক যাতায়াত করেন। সেতু নির্মাণ না হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন সবাই। আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেবো। দ্রুত কাজ শুরু না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।”

জানা যায়, সেতুটি নির্মাণে ৮৫ কোটি ৯৯ লাখ ৩০ হাজার ৬৭৮ টাকায় তমা কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি হয়। চার দফা সময় বাড়িয়েও কাজ শেষ হয়নি। এখন পর্যন্ত ৭৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হলেও বিল নেওয়া হয়েছে ৭৮ শতাংশ, অর্থাৎ প্রায় ৬৫ কোটি টাকা। শেষ হয়েছে সব পিলার এবং ১৫টি স্প্যানের মধ্যে ১২টি, ৭৫টি গার্ডারের মধ্যে ৬০টির কাজ। এখনো বাকি আছে ২০টি গার্ডার ও ৩টি স্প্যান।

এলাকাবাসীর দাবি, অবিলম্বে নির্মাণকাজ শুরু করে সেতুটি চালু করতে হবে, না হলে বৃহত্তর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে।

মোঃ আব্দুল হালিম/এআরএস

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

মানববন্ধন

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর