ঈদের টানা ১০ দিনের ছুটিতে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন পর্যটন স্পটে পর্যটকদের পদচারণা বাড়ছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি খাগড়াছড়ি সব বছরই পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়, তবে এবার ঈদের দীর্ঘ বন্ধ থাকার কারণে রেকর্ডসংখ্যক পর্যটক আগমন ঘটেছে।

আলুটিলা রহস্যময় সুড়ঙ্গ, ঝুলন্ত সেতু, তারেং, রিছাং ঝর্না, মায়াবিনী লেকসহ জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে পর্যটক উপচে পড়েছে। বৃষ্টির পর প্রকৃতির সবুজে ঘেরা নৈসর্গিক দৃশ্য দর্শকদের মুগ্ধ করেছে।

পর্যটকরা জানান, প্রথমবারের মতো খাগড়াছড়ি আসার অভিজ্ঞতা স্মরণীয় হয়েছে। দর্শনার্থী আশিক মাহমদ সুমন ও ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘সবুজে মোড়া পাহাড় আর বাঁকানো পাহাড়ি রাস্তা খুব সুন্দর ও মনোমুগ্ধকর। আলুটিলার গুহাটি অসাধারণ লেগেছে।’

আদ্রিতা বিশ্বাস বলেন, ‘পরিবার নিয়ে ঈদের ছুটিতে খাগড়াছড়ি এসেছি। আগে কখনো আসিনি। মোবাইলে দেখেছি, কিন্তু এখানে এসে প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়েছি। আলুটিলায় গড়ে ওঠা বিভিন্ন স্থাপনা এবং বিকেলের সময় পরিবেশ খুবই উপভোগ্য। আগামীকাল সাজেক ভ্রমণের পরিকল্পনা রয়েছে।’

জেলা পরিষদ পার্কের তত্ত্বাবধায়ক মো. ইউসূফ জানান, ‘ঈদে টানা বন্ধ থাকার ফলে পার্কে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক এসেছে। এর ফলে রাজস্ব আয়ও বাড়বে বলে আশা করছি।’

খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল বলেন, ‘পর্যটকদের নিরাপত্তায় তিন স্তরে পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। টুরিস্ট পুলিশ ও জেলা পুলিশ পর্যটকদের নির্বিঘ্ন ভ্রমণের জন্য কাজ করছে। পর্যটকরা যেন হয়রানির শিকার না হয়, সেদিকে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে নানা পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হচ্ছে।’

জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, ‘খাগড়াছড়ি হয়ে সাজেক পর্যন্ত পাকা সড়ক হওয়ায় এই অঞ্চল ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তাই পর্যটকের সংখ্যা বেশি। তাদের নিরাপত্তা ও আকর্ষণ বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।’

ঈদুল আযহার ছুটিতে খাগড়াছড়ি জেলায় প্রায় ৫০ হাজার পর্যটকের সমাগম হবে বলে পর্যটন সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।

এআরএস