রূপগঞ্জে ছাত্রদল–যুবদলের সংঘর্ষে মুদি দোকানদার নিহত

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৫, ১৬:৫৫
-684960b1bdad9.jpg)
ছবি : সংগৃহীত
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ছাত্রদল ও যুবদলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মামুন মিয়া (৩৫) নামে এক মুদি দোকানদার নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতা।
মঙ্গলবার (১০ জুন) বিকেলে উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের মাঝিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মামুন মিয়া ওই এলাকার আবদুল মন্নাফের ছেলে। আহত সাব্বির হোসেন খোকা ভুলতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে তিনি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ থেকে সরে এসে ছাত্রদল নেতা জাহিদুল ইসলাম বাবুর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যুবদল নেতা বাদল মিয়া ও ছাত্রদল নেতা জাহিদুল ইসলাম বাবুর মধ্যে এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। এরই জেরে বাদল মিয়ার অনুসারীরা মঙ্গলবার বিকেলে খোকাকে তার বাড়ি থেকে ধরে এনে মারধর করে ও হাত-পা ভেঙে দেয়।
পরে খবর পেয়ে জাহিদুল বাবুর সমর্থকেরা খোকাকে উদ্ধারে গেলে উভয়পক্ষে বাকবিতণ্ডা, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও একপর্যায়ে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে বাদল মিয়ার ভাই ও স্থানীয় মুদি দোকানদার মামুন মিয়ার মাথায় গুলি লাগে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মধ্যরাতে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মামুন মিয়ার মৃত্যুর খবরে তার স্বজনরা অভিযুক্তদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চালান বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনার জেরে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ‘সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের’ অভিযোগে ছাত্রদল নেতা জাহিদুল ইসলাম বাবুকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
যুবদল নেতা বাদল মিয়া অভিযোগ করে বলেন, ‘নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী খোকাকে স্থানীয়রা গণপিটুনি দেয়। পরে জাহিদুল গুলি চালায়, যাতে আমার ভাই মারা যান।’
অন্যদিকে জাহিদুল বাবু দাবি করেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ষড়যন্ত্র করে আমাকে জড়াচ্ছে।’
নারায়ণগঞ্জ জেলার সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার পরপরই পুলিশ পাঠানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
এন বি আকাশ/এআরএস