ভোলার চরফ্যাশনে সালিশের সিদ্ধান্ত না মানায় জেলে পরিবারের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির এক নেতার বিরুদ্ধে।

শনিবার (৮ জুন) দুপুরে উপজেলার দুলারহাট থানার নীলকমল ইউনিয়নের চরনুরুল আমিন গ্রামের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত মো. আনিছ নীলকমল ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি।

বুধবার (১১ জুন) দুপুরে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আহত জেলে আব্দুল মন্নান বলেন, তার ভাই আবু সাইদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক বিরোধ চলছিল। সেই বিরোধ মীমাংসায় উভয় পক্ষ বিএনপি নেতা আনিছের কাছে সালিশের জন্য যান। ৮ জুন আনিছ ও শাজাহানসহ কয়েকজন সালিশদার মন্নানের বাড়িতে বসেন। কিন্তু সালিশের রায় মেনে না নেওয়ায় আনিছ, শাজাহান ও তাদের লোকজন মন্নান, তাঁর স্ত্রী রিনা, ছেলে বাচ্চু, মাকসুদ ও আব্দুল মুনাফ বেপারীকে মারধর করেন এবং ঘরে হামলা চালান। এতে পাঁচজন আহত হন। পরে তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আহত মন্নান এ ঘটনায় আটজনকে আসামি করে দুলারহাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অন্যদিকে, অভিযুক্তের ভাই আবু সাইদের স্ত্রী মালেকা বলেন, ‘আমার দেবর মন্নানের সঙ্গে পারিবারিক বিরোধ চলছিল। তাই স্থানীয় বিএনপি নেতা আনিছকে বিষয়টি জানাই। ৮ জুন তিনি শাজাহানসহ আরও কয়েকজনকে নিয়ে সালিশে বসেন। সেখানে মন্নান সালিশ মেনে না নেওয়ায় তর্কাতর্কি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। একপর্যায়ে মন্নান ও তাঁর পরিবার ঘরের ভেতরে ঢুকে পড়ে। এরপর বাহির থেকে লোকজন হামলা চালায়।’

অভিযুক্ত বিএনপি নেতা আনিছ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘মন্নান ও তার পরিবার আমাদের অপমান করেছেন এবং আমাদের ওপরই হামলা চালিয়েছেন। আমরা কাউকে মারধর করিনি।’

দুলারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফ ইফতেখার বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’

এম ফাহিম/এআরএস