মুন্সীগঞ্জ জেলার চারটি সংসদীয় আসন পুনঃবহালের দাবিতে লংমার্চ

টঙ্গীবাড়ী (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৫, ২০:৫৩
-684998863de79.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
মুন্সীগঞ্জ জেলার ২০০১ সালের সীমানা অনুযায়ী চারটি সংসদীয় আসন পুনঃবহালের দাবিতে গণসংযোগ ও লংমার্চ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১১ জুন) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ করেন ‘মুন্সীগঞ্জ জেলার চারটি আসন বাস্তবায়ন কমিটি’র নেতাকর্মীরা।
লংমার্চটি শুরু হয় ঢাকার পোস্তগোলা সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা সেতু-১ এলাকা থেকে। এরপর শ্রীনগরের ছনবাড়ি, টঙ্গীবাড়ীর কুন্ডেরবাজার সেতু, বেতকা, আবদুল্লাহপুর ও টঙ্গীবাড়ী উপজেলা মাঠে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে আলদী বাজার, দিঘীরপাড় ও হাসাইল হয়ে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটে জেলা শহরে।
চারটি আসন বাস্তবায়নের দাবিতে আয়োজিত এ কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য ছিল—মুন্সীগঞ্জবাসীর ন্যায্য অধিকার আদায়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি, চারটি আসন পুনর্বহালের দাবি জানানো এবং লিফলেট বিতরণ ও প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনা।
কমিটির সদস্যসচিব, ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মহসিন মিয়া বলেন, ‘২০০১ সালের সীমানা অনুযায়ী মুন্সীগঞ্জে শ্রীনগর-সিরাজদিখান (আসন-১), লৌহজং-সিরাজদিখান (আসন-২), টঙ্গীবাড়ী-মুন্সীগঞ্জ সদর (আসন-৩) ও গজারিয়া-মুন্সীগঞ্জ সদর (আসন-৪) নামে চারটি আসন ছিল। এই চারটি আসন আমাদের সাংবিধানিক অধিকার ও গর্বের প্রতীক।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০০৭ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে চারটি আসন কমিয়ে তিনটি করে। পরে আওয়ামী লীগ সরকার তা কার্যকর করে। এতে করে জেলার মানুষ তাদের উন্নয়ন ও রাজনৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। আমরা চাই, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগেই এই চারটি আসন পুনঃবহাল করতে হবে। অন্যথায় আমাদের আন্দোলন চলবে।’
তিনি জানান, আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে—জাতীয় প্রেসক্লাবে গোলটেবিল বৈঠক, নির্বাচন কমিশনের সামনে মানববন্ধন এবং প্রতিটি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি প্রদান।
লংমার্চ ও গণসংযোগ কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন মীরকাদীম পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. হোসেন রেনু, টঙ্গীবাড়ী উপজেলা কল্যাণ সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন আসিক, মুন্সীগঞ্জ বিক্রমপুর সমিতির নির্বাহী সদস্য মাহবুব আলম বাচ্চু, বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কালাম, ঢাকা বারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আক্তার হোসেন সোহেল, প্রজন্ম বিক্রমপুরের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক বলরাম বাহাদুর ও কামারখাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন হাওলাদার প্রমুখ।
নাজমুল ইসলাম/এআরএস