নদীর তীরে উদ্ধার ১১ মর্টার শেল নিরাপদে বিস্ফোরণ

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৫, ১৫:৪৫

ছবি : বাংলাদেশের খবর
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের পাটিতাপাড়া এলাকায় যমুনা নদীর তীর থেকে ‘মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের’ ১১টি অবিস্ফোরিত মর্টার শেল উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে মর্টার শেলগুলো নিরাপদভাবে বিস্ফোরিত করা হয়।
এর আগে বুধবার বিকালে পরিত্যক্ত অবস্থায় শেলগুলো দেখতে পান স্থানীয় এক জেলে। পরে পুলিশ এসে উদ্ধার করে সেগুলো সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পাঠায়।
স্থানীয় শাহাদত নামের এক ব্যক্তি নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে প্রথমে মর্টার শেলগুলো দেখতে পান। হঠাৎ এ ধরনের সামরিক অস্ত্র দেখে তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে আশপাশের লোকজনকে জানালে এলাকাবাসী সেখানে ভিড় জমায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মর্টার শেলগুলো উদ্ধার করে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আলিম তালুকদার জানান, ১৯৭১ সালের ১০ আগস্ট মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে সিরাজকান্দী ও মাটিকাটা এলাকার যমুনা নদীতে নোঙর করা পাকিস্তানি যুদ্ধজাহাজ ‘আর এস ইউ ইঞ্জিনিয়ার’ ও ‘এলাস-৩’ ধ্বংস করা হয়েছিল। সেই সময়কার অনেক অস্ত্র নদীতে পড়ে যায়। উদ্ধারকৃত মর্টার শেলগুলোও সে সময়কার বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয় রুবেল সরকার, মনির ও রফিকুল ইসলাম জানান, তাদের পূর্বপুরুষদের মুখে শুনেছেন যে ওই এলাকায় পাকিস্তানি একটি যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস করা হয়েছিল। মর্টার শেলগুলো সেই স্মৃতিরই সাক্ষ্য।
ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাউল করিম জানান, উদ্ধারকৃত ১১টি মর্টার শেল সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে নলিন এলাকার যমুনা নদীতে শেলগুলো নিরাপদভাবে বিস্ফোরিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তারিকুল ইসলাম নিশ্চিত করে বলেন, উদ্ধারকৃত ১১টি মর্টার শেল সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
এমবি