Logo

সারাদেশ

আলফাডাঙ্গায় কৃষক লীগ নেতা গ্রেপ্তার

Icon

আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৫, ১৬:০০

আলফাডাঙ্গায় কৃষক লীগ নেতা গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার কৃষক লীগ নেতা সোহরাব হোসেন বুলবুল। ছবি : বাংলাদেশের খবর

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা কৃষক লীগের পানি, সেচ ও বিদ্যুৎ বিষয়ক সম্পাদক সোহরাব হোসেন বুলবুলকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছেন পুলিশ। 

শুক্রবার (১৩ জুন) দুপুরে তাকে ফরিদপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে একই দিন ভোররাতে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তার সোহরাব হোসেন সদর ইউনিয়নের মহিষারঘোপ গ্রামের মৃত. ওয়াদুদ মোল্যার ছেলে।

জানা গেছে, চলতি বছরের গত ১৮ জানুয়ারি আলফাডাঙ্গা থানায় আওয়ামী লীগের ১৭০ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে একটি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেন আলফাডাঙ্গা পৌর সদরের বুড়াইচ এলাকার ইদ্রিস সর্দারের ছেলে বিএনপির সমর্থক দিনমজুর লাভলু সর্দার। এছাড়া মামলায় আড়াই থেকে তিন হাজার জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় অজ্ঞাত আসামি হিসেবে ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বুলবুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

সোহরাব হোসেন দীর্ঘকাল চট্রগ্রামে শিপিং করপোরেশনে চাকুরি করতেন। হঠাৎ এলাকায় এসে স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন।  ২০২২ সালে ইউনিয়ন ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের ‘ম্যানেজ’ করে সোহরাব হোসেন নৌকা প্রতীক বাগিয়ে নেন। অবশেষে সবকিছু ছাপিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুজ্জামান মাসুদ মাস্টারকে ১৪৪ ভোটে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন সোহরাব হোসেন। এরপর পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর পরিচয় দিয়ে নিজ ইউনিয়নে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন।

অভিযোগ রয়েছে, ৫ আগস্টের পর শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে আলফাডাঙ্গায় অস্ত্র মিছিল করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সেই অস্ত্র মিছিলের নেতৃত্ব দেন সোহরাব হোসেন বুলবুল। কিন্তু এ ঘটনায় পরবর্তীতে থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা হলেও মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে এজাহারভুক্ত আসামির তালিকা থেকে নাম বাদ যায় তার। এ নিয়ে পরবর্তীতে স্থানীয় বিএনপির মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ৫ আগস্টের পরেও এলাকায় বীরদর্পে চলাফেরা করতেন সোহরাব হোসেন। এমনকি গত ২৩ মে তার বিরুদ্ধে বিএনপির দলীয় কর্মসূচি বানচালের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেন ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম। এরপর ক্ষিপ্ত হয়ে এক বক্তৃতায় সোহরাব হোসেনকে পেলেই গণধোলাই দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

ইউনিয়ন পরিষদেও সোহরাব হোসেনের বিরুদ্ধে টিআর, কাবিখা, বয়স্ক ভাতাসহ সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের অধিকাংশ সদস্যের সঙ্গেও তার চরম বিরোধ চলছিল। চলতি বছরের শুরুতে নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে সোহরাব হোসেন বুলবুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ দেন স্থানীয় একজন ব্যক্তি।

এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল আলম বলেন, ‘একটি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’

এমআই

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ আদালত

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর