বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের গৌরনদী অংশ এখন যেন মৃত্যুফাঁদ। ঈদুল আজহার দিন (৭ জুন) থেকে শুক্রবার (১৩ জুন) পর্যন্ত ছয় দিনে এ সড়কে সাতটি দুর্ঘটনা ঘটেছে।

এতে দুইজন নিহত ও অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। লাগাতার দুর্ঘটনায় এ সড়ক এখন আতঙ্কের রাস্তায় পরিণত হয়েছে।

সবশেষ শুক্রবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে গৌরনদী উপজেলার ইল্লা এলাকায় মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় ঢাকাগামী গোল্ডেন লাইন ও বরিশালগামী ইতি পরিবহনের দুটি বাসের মধ্যে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেপরোয়া গতির কারণেই এ সংঘর্ষ ঘটে। এতে বাস দুইটির চালকসহ অন্তত আটজন আহত হন। দুর্ঘটনার পর প্রায় দুই ঘণ্টা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। এতে সৃষ্টি হয় প্রায় ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ তীব্র যানজট।

গৌরনদী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. বিপুল হোসেন জানান, ঢাকাগামী গোল্ডেন লাইন ও বরিশালগামী ইতি পরিবহনের বেপরোয়া গতির কারণে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে দুই চালকের অবস্থা গুরুতর।

গৌরনদী হাইওয়ে থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনাকবলিত বাস দুটি জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি মহাসড়কের ওপর থেকে বাস দুটি সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অন্যদিকে, একইদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলার উজিরপুর উপজেলার ইচলাদী-ডাকবাংলো সড়কে ব্র্যাক কার্যালয়ের সামনে অটোরিকশার ধাক্কায় নিহত হন এক পথচারী। নিহত ব্যক্তির নাম আলতাফ সরদার (৫৩)। তিনি গৌরনদী উপজেলার সাকোকাঠী গ্রামের মেসের আলী সরদারের ছেলে।

উজিরপুর মডেল থানার ওসি মো. আব্দুস সালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এমবি