যৌতুক না পেয়ে হামলা, খাল সাঁতরে পালাল বরপক্ষ

লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৫, ১৭:৩৩

ভোলার লালমোহনে যৌতুক না পেয়ে কনের পরিবারের ওপর হামলার অভিযোগ।
ভোলার লালমোহনে যৌতুকের টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার না পেয়ে কনের পরিবারের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে বরপক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর খাওয়া-দাওয়া না করেই খাল সাঁতরে পালিয়েছে তারা।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে লালমোহন ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোলপাড় এলাকার আনা মিয়া কালু বেপারী বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে। এতে কনের মা, বাবা, বোন ও চাচা আহত হয়ে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
কনের ফুফু মমতাজ বেগম বলেন, গত ঈদুল ফিতরের সময় আমার ভাই মো. বিল্লালের বড় মেয়ে সালেহা বেগমের সঙ্গে লালমোহন পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুল মালেকের ছেলে মো. রুবেলের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তখন বরপক্ষ যৌতুক হিসেবে ২ লাখ টাকা ও ২ ভরি স্বর্ণ দাবি করেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কনেকে উঠিয়ে নিতে আমাদের বাড়িতে আসেন বরপক্ষের লোকজন। তাদের সঙ্গে কথা ছিল দুপুরে ৫০ জন খাবেন। কিন্তু তারা এসেছেন ৬৫ জন। বরপক্ষ আসবে শুনে বাড়ির ছোট ছোট মেয়েরা গেট তৈরি করে। তবে বরপক্ষের লোকজন বাড়িতে এসেই উত্তেজিত হয়ে বলেন, আগে যৌতুকের টাকা ও স্বর্ণ দিতে হবে। তারপর খাবার খেয়ে তারা কনেকে নেবেন।
মমতাজ বেগম আরও বলেন, কনের বাবা তখন বলেন বাকি টাকা ও স্বর্ণের জন্য আমাকে সময় দিতে হবে। তখন ছেলের বাবা জবাব দেন, বিড়ির টাকা বাকি থাকলেও কনেকে নেওয়া হবে না। একপর্যায়ে বরের বড় ভাই মো. হাসান গেট ও চেয়ার ভাঙচুর শুরু করেন। এ সময় বরের সঙ্গে আসা অন্তত ৮-১০ জন কনের পরিবারের লোকজনকে চেয়ার দিয়ে মারতে শুরু করেন। এরপর তারা খাওয়া-দাওয়া না করেই কেউ খাল সাঁতরে এবং কেউ নৌকা দিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে বর মো. রুবেল জানান, আমি পেছনে ছিলাম। তবে গেটে আমার বড় ভাইয়ের সঙ্গে কী নিয়ে ঝামেলা হয়েছে তা আমি জানি না।
এ বিষয়ে লালমোহন থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, হামলায় আহত হয়ে কনে পক্ষের লোকজন থানায় আসলে চিকিৎসার জন্য তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সুস্থ হয়ে তারা লিখিত অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এমবি