বরিশালের গৌরনদী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে নির্মাণের মাত্র তিন মাসের মাথায় একটি কার্পেটিং সড়কের একাংশ ধসে পাশের পুকুরে পড়ে গেছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নিম্নমানের নির্মাণকাজ ও পরিকল্পনার অভাবেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গৌরনদী পৌর এলাকার শাওড়া মহল্লার ফারুক ঠাকুরের বাড়ির পেছন থেকে সন্যামত বাড়ি পর্যন্ত সড়কটি কার্পেটিং করা হয় তিন মাস আগে। নির্মাণের কিছুদিন পরই সড়কের মৃধা ভবনের সামনের অংশে ফাটল দেখা দেয়। গত ২০-২৫ দিন ধরে সড়কের বড় একটি অংশ ভেঙে পড়ে ছিল, সম্প্রতি তা পুরোপুরি পুকুরে ধসে পড়ে।

স্থানীয় বাসিন্দা সাব্বির আকন বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে রাস্তা ধসে পড়েছে ঠিক, কিন্তু নির্মাণকাজে ঠিকাদার যদি পাইলিং ও নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা ঠিকভাবে করতেন, তাহলে এমন ঘটনা ঘটত না। মূলত পরিকল্পনার অভাব এবং নিম্নমানের কাজই দায়ী।’

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিটুমিনের পিচকার্পেটিং আস্তে আস্তে সরে গিয়ে পুকুরে পড়ে গেছে। রাস্তার পাশের সুরক্ষা দেয়াল বা পাইলিং ছিল খুবই দুর্বল। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই ভাঙনের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এখন এ সড়কে যান চলাচল তো দূরের কথা, সাধারণ মানুষ হেঁটেও চলাফেরা করতে পারছেন না-ভয়ে থাকছেন পুকুরে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কায়।

সড়কটি এলাকার গুরুত্বপূর্ণ একটি পথ হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন স্কুলগামী শিক্ষার্থী, বৃদ্ধ ও রোগীবাহী যানবাহনসহ হাজারো মানুষ। বিকল্প রাস্তা না থাকায় এলাকাবাসীকে প্রায় আধাকিলোমিটার পথ ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে গৌরনদী পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, ‘কয়েকদিন আগে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পুকুরের পানি সেচ করার কারণে রাস্তার মাটি সরে গিয়ে ধস নেমেছে। ঠিকাদার দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে কথা হয়েছে, তিনি সড়কটি পুনরায় মেরামত করবেন। এখনও অনেক কাজ বাকি, তাই পুরো বিল দেওয়া হয়নি।’