কুমিল্লা নগরীতে একই গলিতে ৬টি ফ্ল্যাটে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোরের দল গ্রিল কেটে এসব বাসায় ঢুকে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান মালামাল নিয়ে গেছে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তাহের মিয়াসহ ৬টি ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ১০ জুন রাতে নগরীর চর্থা এলাকার কাসেমুল উলূম মাদ্রাসার গলির ৬টি ফ্ল্যাট ফাঁকা পেয়ে এ দুর্ধর্ষ চুরি করেছে চোরেরা। কোনো ফ্ল্যাটের জানালার গ্রিল ও কোনো ফ্ল্যাটের বারান্দার গ্রিল কেটে ভেতরে ঢুকে ৪টি ফ্ল্যাটে চুরি করা হয়।

এ সময় ‘নীড় ভবন’-এর তাহের মিয়ার ফ্ল্যাট থেকে ৬–৭ ভরি স্বর্ণালংকার, ‘লাকি হাউজ’-এর একটি ফ্ল্যাট থেকে ৫ লাখ টাকা ও ‘সিদ্দিক মঞ্জিল’-এর একটি ফ্ল্যাট থেকে ৪–৫ লাখ টাকার স্বর্ণালংকারসহ অন্যান্য মূল্যবান মালামাল চুরি যায়। চোরেরা ৭ লাখ টাকা নগদ অর্থ এবং প্রায় ৫ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।

ভুক্তভোগীরা জানান, ঈদুল আজহার ছুটিতে সপরিবারে গ্রামের বাড়িতে যান তারা। পরবর্তীতে ১১ জুন রাতে বাসায় এসে দেখেন, সবার বাসায় পরিকল্পিতভাবে চুরি হয়েছে। পরে সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে চুরির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এ সময় চোরেরা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, দামি মোবাইল ফোন, ব্যাংকের চেক বইসহ মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে।

ভুক্তভোগী পারভীন আক্তার বলেন, চোরেরা রাতের আঁধারে সুবিধাজনক স্থান থেকে বিভিন্ন ভবনে চুরির জন্য উৎ পেতে থাকে। আমার বাসার ঘটনাটি আমি নিজেও জানি না। কবে এ চুরি হলো, তা নিশ্চিত না হলেও আমার ধারণা ঈদের পরের দিন এ চুরির ঘটনা ঘটেছে। এখন পুলিশ বিষয়টি দেখছে। আমরা আপাতত কিছু বলছি না।

এ বিষয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম বলেন, ঈদের লম্বা ছুটিতে অসাধু চক্র সুযোগ নিতে পারে। তারপরও কিছু কিছু এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে চুরির ঘটনা ঘটছে। আমরা এসব চোরদের ব্যাপারে সিরিয়াস। দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনব।

সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ/এমবি