Logo

সারাদেশ

শেরপুরে রাস্তা নিয়ে বিরোধের জেরে বসতঘরে হামলা-ভাঙচুর

Icon

শেরপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২৫, ১৯:২৪

শেরপুরে রাস্তা নিয়ে বিরোধের জেরে বসতঘরে হামলা-ভাঙচুর

ছবি : বাংলাদেশের খবর

শেরপুর সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের যোগিনীমুরা গ্রামে বাড়ির মধ্য দিয়ে রাস্তা না দেওয়ায় এক পরিবারের ওপর হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও কলাবাগান কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় শুক্রবার (১৩ জুন) রাতে ১৩ জনকে নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ৪০–৫০ জনকে আসামি করে সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য মো. মকছেদ।

স্থানীয় সূত্র ও অভিযোগ থেকে জানা যায়, চরশেরপুর গ্রামের বাসিন্দা কমছের আলী প্রায় একবছর আগে পার্শ্ববর্তী যোগিনীমুরা গ্রামে একটি জমি কিনে ঘর নির্মাণ করেন। পরে তার ভাই মকছেদসহ পরিবার নিয়ে বসবাস শুরু করেন। বসতঘর নির্মাণের পর থেকে স্থানীয় জুলহাস মাস্টারসহ কয়েকজন বাড়ির ভেতর দিয়ে রাস্তা দাবি করে আসছিলেন। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার স্থানীয় সালিশও হয়।

কমছের আলীর পরিবার বাড়ির পাশ দিয়ে রাস্তা দিতে চাইলেও জুলহাস মাস্টাররা বাড়ির ভেতর দিয়ে রাস্তা চেয়ে অনড় ছিলেন। এরই জেরে গত বুধবার (১১ জুন) দুপুরে একদল লোক কমছের আলীর বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় ঘরবাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট, মারধর এবং কলার বাগান থেকে কলার ছড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। হামলায় কমছের আলীসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্য আহত হন।

এ ঘটনায় কমছের আলীর ভাই মকছেদ আলী বাদী হয়ে জুলহাস মাস্টার, তার দুই ছেলে নিয়াজ ও রিয়াজ, নয়ন, নাজমুল, আলমসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন। অভিযোগে অজ্ঞাতনামা আরও ৪০–৫০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

মকছেদ আলী বলেন, ‘আমরা আইন অনুযায়ী জমি কিনে ঘর করেছি। তবু সবার কথা চিন্তা করে পাশ দিয়ে রাস্তা দিতে রাজি ছিলাম। কিন্তু তারা জোর করে বাড়ির ভেতর দিয়ে রাস্তা করতে চায়। এতে রাজি না হওয়ায় সংঘবদ্ধ হয়ে হামলা চালিয়েছে। আমরা সুষ্ঠু বিচার চাই।’

অন্যদিকে, অভিযোগ অস্বীকার করে জুলহাস মাস্টার বলেন, ‘এসব ভিত্তিহীন। আমরা বহুদিন ধরে ওই রাস্তা দিয়ে চলি। তারা ঘর তুলে রাস্তা বন্ধ করেছে। এতে স্থানীয়দের ক্ষোভে এ ঘটনা ঘটেছে।’

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুবায়দুল আলম বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এআরএস

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

সংঘর্ষ

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর