Logo

সারাদেশ

মদনে আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে স্ত্রী নির্যাতনের অভিযোগ

Icon

হাওরাঞ্চল (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৫, ১৪:৩৪

মদনে আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে স্ত্রী নির্যাতনের অভিযোগ

অভিযুক্ত আনসার সদস্য মোমেন মিয়া

নেত্রকোনার মদন উপজেলায় আনসার ব্যাটালিয়নের এক সদস্যের বিরুদ্ধে স্ত্রী নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত আনসার সদস্য মোমেন মিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী স্ত্রী জান্নাতুল আক্তার লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে এই অভিযোগপত্র জমা দেন তিনি।

অভিযোগসূত্রে জানা যায়, মোমেন মিয়া ঢাকার বসুন্ধরা এলাকার এজিবি ক্যাম্পে কর্মরত আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্য। তিনি উপজেলার কেশজানি গ্রামের নুরু মিয়ার (হালান) ছেলে।

আর জান্নাতুল আক্তার মদন পৌরসভার মনোহরপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেম মিয়ার কন্যা। বাবার মৃত্যুর পর তার মা ঝর্ণা আক্তার কেশজানি গ্রামে ফিরে আসেন। সেখানেই মোমেন মিয়ার সঙ্গে জান্নাতুলের পরিচয় হয়। তখন জান্নাতুল রংপুরে সোহাগ মিয়া নামের এক যুবকের সঙ্গে দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করছিলেন। তবে মোমেনের সঙ্গে নিয়মিত মোবাইলে যোগাযোগের মাধ্যমে তাদের মধ্যে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে সোহাগ ও জান্নাতুলের সংসারে অশান্তি শুরু হয় এবং একপর্যায়ে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে।

পরবর্তীতে মোমেন মিয়া জান্নাতুলের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিলে জান্নাতুলের মা আনসার ব্যাটালিয়নের ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ দেন। সেই প্রেক্ষিতে ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সালে মোমেন মিয়া জান্নাতুলকে বিয়ে করেন। তবে চাকরির কারণে মোমেন তাকে নিজ বাড়িতে রেখে ঢাকায় চলে যান। এরপর থেকেই তার পরিবারের সদস্যরা জান্নাতুলকে অবহেলা ও শারীরিক নির্যাতন করতে থাকে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এমনকি তার কক্ষের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় এবং খাবার দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। রাতে তাকে একা ফেলে রেখে অন্য সদস্যরা অন্যত্র রাত কাটাতেন। স্বামী মোমেনও তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন এবং তাকে তালাক দিয়েছেন বলে এলাকায় প্রচার করতে থাকেন।

নির্যাতনের শিকার জান্নাতুল বলেন, আমি মোমেনের প্ররোচনায় আগের সংসার ভেঙে এখানে এসেছি। এখন সে নিজেই আমাকে অস্বীকার করছে। আমি বিচার চাই।

অন্যদিকে মোমেন মিয়া দাবি করেন, আমি শুনেছিলাম তার আগে একটি বিয়ে হয়েছিল। পরে জানতে পারি দুটি বিয়ে ছিল। তাকে ভাড়া বাসায় রেখেছিলাম, কিন্তু সে ৩-৪ দিন ধরে অন্য এক ছেলের সঙ্গে চলে গিয়েছিল। পরে তাকে বাড়িতে আনলেও আমার ভাই-বোনদের সঙ্গে ঝগড়া করে সে তার মায়ের বাড়ি চলে যায়। সম্পর্ক টিকছে না দেখে তাকে তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছি।

এ বিষয়ে মদন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাঈম মুহাম্মদ নাহিদ হাসান বলেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি। তাকে আদালতের মাধ্যমে মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

  • নিজাম তালুকদার/এটিআর  

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

পরকীয়া

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর