-684eb1d0cd4fa.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
আজ পয়লা আষাঢ়। সকাল থেকেই রোদ আর ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস করছিলেন মেহেরপুরবাসী। রোদের তীব্রতা ও অস্বস্তিকর গরমে কর্মজীবীদের কষ্ট বাড়িয়ে দিয়েছিল আরও।
ঈদের ছুটির পর প্রথম কর্মদিবসে অফিসপাড়ায় ছিল লোকসমাগম। রোদে ঘেমে-নেয়ে প্রয়োজনীয় কাজ সারছিলেন সাধারণ মানুষ।
এমন সময় দুপুর ১টার দিকে হঠাৎ করে কালো মেঘে ঢেকে যায় আকাশ। শুরু হয় হালকা বৃষ্টি। এরপর থেমে থেমে আধা ঘণ্টার মতো চলে সেই বৃষ্টি। দীর্ঘ সময়ের রোদ আর গরমের পর বৃষ্টির ছোঁয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন মানুষ।
বৃষ্টি নামতেই কাজে বের হয়ে পড়েন রিকশাচালক ও দিনমজুররা। গাংনী বাজারের ভ্যানচালক রমজান আলী বলেন, ‘‘অন্যান্য বছর ঈদের সময় ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় হতো। এবার গরম আর রোদের কারণে যাত্রীই ছিল না। দিনে ২০০–৩০০ টাকাও আয় হয়নি।’’
৫০ বছর বয়সী আরেক ভ্যানচালক জমিরুল হক জানান, আজ বৃষ্টি দেখে বিকেলে রাস্তায় বের হয়েছেন।
দুপুর ১২টায় মেহেরপুরের তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস আগেই জানিয়েছিল খুলনা বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা। সেই পূর্বাভাস অনুযায়ী আষাঢ়ের শুরুতেই মেহেরপুরে দেখা মিলল স্বস্তির বৃষ্টির।
এআরএস