কক্সবাজারের চকরিয়ার উপকূলীয় বদরখালীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে আবদুল হালিম (৫২) নামের এক মৎস্যচাষীকে কুপিয়ে জখম করেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

একইসঙ্গে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করতে রাতের আঁধারে মুহুর্মুহু ফাঁকা গুলি ছুড়ে গ্রামে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে সন্ত্রাসীরা।

এ ঘটনার প্রতিবাদে ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে রোববার (১৫ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বদরখালী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ফজর আলী সড়কের তালতলী এলাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন গ্রামবাসী।

আহত আবদুল হালিমের ছেলে ইউনুস মো. শাহিন বলেন, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে আমার বাবা মৎস্যঘেরে যাচ্ছিলেন। এ সময় বদরখালী ইউনিয়নের আমির আলী পাড়ার চলাচলের রাস্তায় একা পেয়ে গুদাম পাড়ার ছাবের বাহিনীর সদস্যরা তাকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় শনিবার রাতে আমি নিজে বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় মামলা দায়ের করি। মামলার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ছাবের বাহিনীর সন্ত্রাসীরা এলাকায় ভীতিকর পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে।

মানববন্ধনে আহত আবদুল হালিমের ছোট ভাই আবদুর রহিম বলেন, ভাইকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ছাবের বাহিনীর লোকজন শনিবার রাতের আঁধারে মুহুর্মুহু ফাঁকা গুলি ছুড়ে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। এর আগেও শুক্রবার রাতে তারা ১০–১২ রাউন্ড গুলি ছুড়েছিল। এসব সন্ত্রাসীদের কারণে এলাকার চিংড়িচাষীরা ভয়ে তটস্থ হয়ে আছে।

এ সময় গ্রামবাসী, চিংড়িচাষী ও ঘের মালিকরা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন- বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির সাবেক পরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম, নারী নেত্রী ফারজানা খানম কলি, আবদুর রহিম, চিংড়ি ব্যবসায়ী আবদুল মালেক, চিংড়িঘের কর্মচারী মো. সেলিম ও স্থানীয় বাসিন্দা ছৈয়দ করিম। এছাড়া মানববন্ধনে গ্রামের শত-শত নারী-পুরুষ অংশ নেন।

এ বিষয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, বদরখালীতে চিংড়ি চাষিকে হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম/এমবি