নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় শোডাউনকে কেন্দ্র করে জেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েল সমর্থক ও উপজেলা ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

রোববার (১৫ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার পলাশ বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বিএডিসি মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ছাত্রদলের একটি মিছিল পলাশ বাসস্ট্যান্ড থেকে বিএডিসি মোড়ের দিকে যাচ্ছিল। একই সময় বিপরীত দিক থেকে ফজলুল কবির জুয়েলের নেতৃত্বে অপর একটি শোডাউন আসে। দুই পক্ষ মুখোমুখি হলে শুরু হয় উত্তেজনা ও সংঘর্ষ। এ সময় ছাত্রদলের কর্মী ইসমাইল হোসেন (২৬) গুলিবিদ্ধ হন। 

ইসমাইল পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার খানেপুর মহল্লার বাসিন্দা আব্দুর রহিমের ছেলে।

ছাত্রদলের অভিযোগ, সংঘর্ষের সময় ফজলুল কবির জুয়েল সরাসরি তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালান। এতে ইসমাইল গুরুতর আহত হন। পরে তাকে প্রথমে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনার একপর্যায়ে জনতা ও ছাত্রদল কর্মীরা জুয়েলকে একটি মসজিদের ভেতর থেকে ধরে পিটিয়ে আহত করেন। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় দুই পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

পলাশ উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব মোস্তাফিজুর রহমান পাপন বলেন, আমরা পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে মিছিল করছিলাম। কিন্তু জুয়েলের নেতৃত্বে পরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। আমাদের এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু শঙ্কায় রয়েছে। এছাড়া আমাদের আরও ৫-৬ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আমরা সুষ্ঠু বিচার চাই।

এ বিষয়ে জানতে বিএনপি নেতা ফজলুল কবির জুয়েলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

নরসিংদীর পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হান্নান বলেন, বিএনপির অভ্যন্তরীণ বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ওসি ও দুই পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৬ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সুমন রায়/এমবি