
‘আমার মেয়ের সঙ্গে মেহেদীর ৫ বছরের সম্পর্ক। মেহেদী আমার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। মেয়ের এসব অপমান নিয়ে থানায় গিয়েছি। তবে থানায় গেলাম, কোনো বিচার পেলাম না।’ এসব কথা বলেছেন ধর্ষণের শিকার হওয়া এক কিশোরীর মা।
ভুক্তভোগী কিশোরীর মা জানান, চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট থানায় বসবাস করেন তারা। তার মেয়ের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আলাউদ্দিন মাস্টারের ছেলে মেহেদী হাসান মাসুদের ৫ বছরের সম্পর্ক ছিল। মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করেছি। মেহেদী তার মেয়েকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করেছে। আমি ঘরে একা থাকি। এ সুযোগে মেহেদী তার মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। বিষয়টি নিয়ে মেহেদীর বাবাকে জানালে তারা বলে, প্রমাণ নিয়ে আসেন। মেহেদী ৯ জুন রাতে তার বাড়িতে মেয়েকে ডেকে নিয়ে তার মা ও ভাই মিলে তাকে ব্যাপক মারধর করে। পরে পুলিশ ওইদিন রাতে মেয়েকে উদ্ধার করে দুলারহাট থানায় নিয়ে আসে। তবে কোনো অভিযোগ নেয়নি।
ভুক্তভোগী কিশোরী জানান, ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় মেহেদীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তখন থেকে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন মেহেদী। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেছেন। গত ৮ মে কিশোরীর সঙ্গে মেহেদীর সর্বশেষ শারীরিক সম্পর্ক হয়। ৯ জুন রাতে মেহেদী তার বাসায় তাকে ডেকে নেয়। সেখানেও শারীরিক সম্পর্কের চেষ্টা করেন। তবে মেহেদীর ভাই দেখে ফেলেন। এ সময় মেহেদীর মা ও ভাই মিলে তাকে ব্যাপক মারধর করেন। দুলারহাট থানা পুলিশ বিষয়টি মীমাংসা করে দেওয়ার কথা বলে তাকে ও মেহেদীকে থানায় আনেন। তবে ওসিকে সব বিষয়ে জানালে ওসি বলেন, ‘নেক্সট টাইম এসব আর হবে না।’
কিশোরী বলেন, এ বিষয়টি দুলারহাট থানার ওসিকে জানানোর পরও তাদের কোনো আইনি সহায়তা দেওয়া হয়নি।
অভিযুক্ত মেহেদী হাসান মাসুদের বাবা আলাউদ্দিন মাস্টার জানান, দুলারহাট থানার ওসি বিষয়টি মীমাংসা করে দিয়েছেন।
কিশোরীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছেলে মেহেদী শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছে—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওসি ওই বিষয়ে কোনো প্রমাণ পাননি।
দুলারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফ ইফতেখার জানান, মেয়ের বক্তব্যের সঙ্গে ধর্ষণের ঘটনার কোনো মিল পেলাম না।
এম ফাহিম/এমবি