লঞ্চঘাটে অতিরিক্ত টোল আদায়, সাংবাদিকের মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৫, ১১:৩২
-684fac61d7af3.jpg)
লঞ্চঘাটে অতিরিক্ত টোল আদায়, সাংবাদিকের মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ।
ভোলার লালমোহন উপজেলার মঙ্গলসিকদার লঞ্চঘাটে যাত্রীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ৫ টাকার পরিবর্তে ১০ টাকা টোল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এ অনিয়মের ভিডিও করতে গেলে সাংবাদিকের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়েছে ঘাট ইজারাদারের দুই ব্যক্তি।
রোববার (১৪ জুন) বিকেলে মুঠোফোনে এ অনিয়মের ভিডিও ধারণ করছিলেন লালমোহন উপজেলার নয়াদিগন্ত পত্রিকার প্রতিনিধি এম আর পারভেজ। বিষয়টি টের পেয়ে তার মুঠোফোন কেড়ে নেন ঘাটের ইজারা আদায়কারী আকতার ও ফিরোজ। এ সময় তারা ওই সাংবাদিকের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন।
সাংবাদিক এম আর পারভেজ বলেন, আমার অসুস্থ ভাগনিকে ঢাকায় ডাক্তার দেখানোর জন্য এগিয়ে দিতে মঙ্গলসিকদার লঞ্চঘাটে যাই। সেখানে ঘাট ইজারাদারের লোকজন টোল ৫ টাকার জায়গায় ১০ টাকা নিচ্ছিল। আমি তাদের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে জিজ্ঞাসা করি, ৫ টাকার স্থলে ১০ টাকা কেন নিচ্ছেন। তখন তারা আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। এরপর আমি বাইরে এসে ভিডিও করা শুরু করলে তারা কয়েকজন একত্রিত হয়ে আমার কাছে আসে। পরে আকতার ও ফিরোজ আমার মোবাইল সেট কেড়ে নেয়।
তিনি আরও বলেন, আমি মোবাইল সেট ফেরত দিতে বললে তারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং মারতে আসে। একপর্যায়ে আমি লালমোহন থানার ওসিকে মুঠোফোনে ঘটনা জানালে পুলিশ আসে। পরে ওখানকার যুবদলের নেতা সোহাগ ও ইমাম পুলিশসহ আমাকে নিয়ে বসে এবং মোবাইল সেট ফেরত দেয়। তবে আমার মোবাইলে থাকা তাদের অনিয়মের ভিডিও ও ছবিগুলো তারা ডিলিট করে দেয়।
লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে মঙ্গলসিকদার ফাঁড়ির ইনচার্জসহ পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মোবাইল সেট ফেরত দিয়েছে ইজারাদারের লোকজন। সাংবাদিক অভিযোগ প্রদান করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহ আজিজ বলেন, এর আগে এ অনিয়মের ব্যাপারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জরিমানা করা হয়েছে। ঈদের পর আমি সেখানে গিয়েছি। তখন কোনো অনিয়ম পাইনি। ইজারাদারের লোকজন আমাদের অগোচরে অনিয়ম করে থাকে। আজকের ঘটনাটি বিআইডব্লিউটিএকে জানানো হবে। যাতে তারা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
এমবি