পলাশে ছাত্রদলের মিছিলে গুলি-ককটেল হামলা, মামলা হলেও নেই গ্রেপ্তার

পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৫, ১৮:৫৯
-6850152fea660.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
নরসিংদীর পলাশে ছাত্রদলের মিছিলে গুলি বর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঘোড়াশাল পৌর বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এ ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার (১৬ জুন) বিকেলে ঘোড়াশাল পৌর এলাকার পলাশ বাসস্ট্যান্ড থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি উপজেলার প্রধান সড়ক ঘুরে পলাশ থানার সামনে এসে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় রোববার সন্ধ্যায় ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ মিছিলে অতর্কিত হামলা চালায় ফজলুর কবির জুয়েল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। তারা ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি বর্ষণ করে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের রক্তাক্ত করে।’
বক্তারা আরও বলেন, ‘দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে রাজপথে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন করে আসা ছাত্রদল নেতা ইসমাঈল হোসেন এখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। তার বুকে গুলি লেগেছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১০ জন, যাদের মধ্যে রয়েছেন ছাত্রদল নেতা রবিউল ও সিএনজি চালক সোহেল।’
‘এত বড় ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার না হওয়া প্রশাসনের নির্লিপ্ততা ও পক্ষপাতদুষ্ট মনোভাবের প্রমাণ,’ বলে উল্লেখ করেন বক্তারা।
বক্তারা অবিলম্বে জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুর কবির জুয়েল ও তার বাহিনীর গ্রেপ্তার এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন ঘোড়াশাল পৌর বিএনপির সভাপতি মো. আলম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন চিশতিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, পলাশ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি অ্যাডভোকেট বাছেদ মিয়া, ছাত্রদল নেতা নাজমুল হোসেন সোহেল, মোস্তাফিজুর রহমান পাপন, আমানউল্লাহ আমান, আরিফুল ইসলাম আরিফ, ডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জামান, যুবদলের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনিরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
উল্লেখ্য, রবিবার সন্ধ্যায় পলাশ উপজেলা ছাত্রদলের একটি মিছিলে হামলা চালানো হলে ছাত্রদল নেতা ইসমাঈল ও সিএনজি চালক সোহেল গুলিবিদ্ধ হন। আহত হন অন্তত আরও ৮ জন। ইসমাঈলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ঘটনার পর রাতেই ছাত্রদলের পক্ষ থেকে পলাশ থানায় ফজলুর কবির জুয়েলকে প্রধান আসামি করে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পলাশ থানার ওসি মো. মনির হোসেন। তবে মামলার পর এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
এআরএস