নদীতে খরচ নেই, তবু কেন চাঁদপুরে ইলিশের দাম বেশি?
ইলিশের দাম নির্ধারণে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠালেন ডিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁদপুর
প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২৫, ১৫:০২
-68512f18f0438.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে চাঁদপুরের বাজারে ইলিশের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ফলে পদ্মা-মেঘনার বিখ্যাত ইলিশ থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এমন প্রেক্ষাপটে জাতীয় মাছ ইলিশের দাম নির্ধারণে উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকালে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক চিঠি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। চিঠিটি একই দিনে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
জেলা প্রশাসনের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, প্রাচীনকাল থেকেই পদ্মা ও মেঘনার ইলিশ সুস্বাদু ও মানের দিক থেকে উৎকৃষ্ট। ২০১৭ সালে সরকার চাঁদপুরকে ‘ইলিশের বাড়ি’ হিসেবে ব্র্যান্ডিং করে। এই স্বীকৃতি ও খ্যাতিকে পুঁজি করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও আড়তদার ইলিশের দাম নিজেদের ইচ্ছেমতো নির্ধারণ করছেন, যা সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, শুধু চাঁদপুর নয়, বরিশাল, ভোলা, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ঝালকাঠি, পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় জেলাগুলোতেও ইলিশ ধরা পড়ে। এসব মাছ উৎপাদনে আলাদা করে কোনো খরচ না থাকলেও বাজারে ইলিশের দাম সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বেড়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয়ভাবে ইলিশের ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ জরুরি।
এ বিষয়ে চাঁদপুর মৎস্য ও বণিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী সবেবরাত সরকার বলেন, ‘চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম। দিনে ৫–১০ কেজি ইলিশ আসে, দাম বাড়ে স্বাভাবিকভাবেই। এখানে সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই।’
চাঁদপুর সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মির্জা ওমর ফারুক বলেন, ‘মৎস্য বিভাগ ইলিশের দাম নির্ধারণ করে না, তবে সরবরাহ ও বাজার পরিস্থিতির তথ্য সংরক্ষণ করে। কোন সংস্থা চাইলে সেই তথ্য প্রদান করা হয়।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, ‘ইলিশের মূল্য নির্ধারণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার অনুরোধ করেছি।’
আলআমিন ভূঁইয়া/এআরএস