স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে কক্সবাজারে বাতিল হচ্ছে ১২৬ মামলা

কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২৫, ১৫:০৭
-68513051ec47c.jpg)
ছবি : সংগৃহীত
২০০৯ সালের ২৯ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দায়ের হওয়া হয়রানিমূলক রাজনৈতিক মামলাগুলো প্রত্যাহারের উদ্যোগ নিয়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
এরই অংশ হিসেবে কক্সবাজার জেলার ১২৬টি মামলা প্রত্যাহারের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা এসেছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইন-১ শাখা থেকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর পাঠানো চিঠিতে এসব মামলার নম্বর উল্লেখ করে জেলা পাবলিক প্রসিকিউটরকে পরামর্শ দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসব মামলা ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৪ ধারার আওতায় প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, সারা দেশে এ পর্যন্ত মোট ১০ হাজার ৫০৬টি হয়রানিমূলক রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বা হয়রানির জন্য দায়ের হওয়া মামলা চিহ্নিত করতে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে—একটি জেলা পর্যায়ে, অন্যটি মন্ত্রণালয় পর্যায়ে। জেলা পর্যায়ের কমিটির সভাপতি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, সদস্য সচিব অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, এবং সদস্য হিসেবে রয়েছেন পুলিশ সুপার ও পাবলিক প্রসিকিউটর।
জেলা কমিটি যদি মনে করে কোনো মামলা হয়রানির উদ্দেশ্যে করা হয়েছে, তাহলে সেই মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। আবেদন পাওয়ার ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ সুপারিশ পাঠাতে হয় জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে।
ব্যক্তি পর্যায়েও এ সুযোগ নেওয়া যায়। আগ্রহী ব্যক্তি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বা আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটরের কাছে আবেদন করতে পারেন। যাচাই–বাছাই শেষে আইন উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে রেজুলেশন অনুমোদন করা হয়। এরপর আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষে চূড়ান্ত অনুমোদন পায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত দায়ের হওয়া রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলার শিকার যে কেউ এই সুবিধা নিতে পারবেন। তবে আবেদনপত্রের সঙ্গে এজাহার ও চার্জশিটের সত্যায়িত অনুলিপি জমা দিতে হবে।
নিরপরাধ রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে হয়রানি থেকে রক্ষার লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়ের যৌথ এই উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
এআরএস