ভোলার চরফ্যাশনে দোকান ঘর জবরদখল ও একাধিকবার চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে নুরাবাদ ইউনিয়ন কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক নুরে আলমের বিরুদ্ধে।

সর্বশেষ এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী।

ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকালে উপজেলার দুলারহাট থানার নুরাবাদ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চর তোফাজ্জল গ্রামে, নাইবের মসজিদ সংলগ্ন চৌরাস্তার পাশে।

ব্যবসায়ী শাহে আলম তালুকদার জানান, দীর্ঘদিন ধরে কৃষকদল নেতা নুরে আলম তার দোকানঘরটি নিজের দাবি করে দখলে নিতে চাইছিলেন।

তিনি জানান, ২০১৫ সালে বাড়ির সামনের সড়কের ঢাল দখল করে দোকান নির্মাণ করেন নুরে আলম। স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় তাকে সেসময় ৩০ হাজার টাকা দিয়ে উচ্ছেদ করা হয়। এরপর পরিবার নিয়ে ঢাকায় চলে যান তিনি।

বর্তমানে আবার এলাকায় ফিরে এসে দোকানঘর দখলে নিলে নুরে আলম তা নিজের দাবি করে এক লাখ টাকা চাঁদা চান। স্থানীয় বিএনপির এক নেতার মধ্যস্থতায় প্রথমে ৬০ হাজার ও পরে ৮৫ হাজার টাকা দিয়ে দোকানঘরটি নির্মাণ করে ব্যবসা শুরু করেন শাহে আলম।

তিনি অভিযোগ করেন, পরে আবারও নুরে আলম দোকানঘর নিজের দাবি করে তিন দফায় মোট ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা আদায় করেন। এরপর ফের এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে দোকানে তালা লাগিয়ে দেন। মঙ্গলবার সকালে শাহে আলমকে রাস্তায় আটকিয়ে ওই টাকা দাবি করেন নুরে আলম। তিনি দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে মারধর করা হয়।

পরে স্থানীয়রা জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ বিষয়ে দুলারহাট থানায় নুরে আলম ও তার ভাই কালুসহ দুইজনকে আসামি করে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শাহে আলম।

অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে নুরে আলম বলেন, ‘তার কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা পাওয়ার কথা থাকলেও পুরো অর্থ এখনো পাইনি। আমি শুধু আমার পাওনা দাবি করছি। চাঁদাবাজি বা হামলার অভিযোগ সত্য নয়।’

দুলারহাট থানা কৃষকদলের সভাপতি মো. মনির বেপারী বলেন, ‘বিষয়টি সমাধানে আমি নুরে আলমের পক্ষ থেকে ৬০ হাজার টাকা আদায় করে সমঝোতা করেছি। জমিটি আওয়ামী লীগের সময় জোর করে নেয়া হয়েছিল, এখন সেটির মূল্য ফেরত চাইছে নুরে আলম।’

দুলারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফ ইফতেখার বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ফাহিম/এআরএস