
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে তিন নারীসহ শ্রমিক লীগ নেতা মাসুদ রানাকে (৫০) আটক করেছে পুলিশ।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে তিন নারীসহ শ্রমিক লীগ নেতা মাসুদ রানাকে (৫০) আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৮ জুন) সকালে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার মান্নান নগর বাজার এলাকার একটি ভাড়াটিয়া বাসা থেকে তাদের আটক করা হয়।
সলঙ্গা থানা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা তাড়াশের মান্নান নগর বাজার এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নারী এনে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আটক নারীরা হলেন- নাটোরের লালপুর উপজেলার জদ্দবগী গ্রামের সম্পা আক্তার (২৩), নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের লতুবদি গ্রামের সোনিয়া (২৩) ও ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মীম আক্তার (১৯)।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাড়াশ থানার ওসি (তদন্ত) রুপ করের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে মাসুদ রানা ও তিন নারীকে আটক করা হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মাসুদ রানা দীর্ঘদিন ধরে ওই বাজারে ভাড়া বাসায় থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নারী এনে দেহ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। তাদের অসামাজিক কার্যকলাপে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছিল।
এ বিষয়ে এলাকাবাসী অভিযোগ করলে পুলিশ তাদের ঘটনাস্থল থেকে আটক করে।
অভিযুক্ত সম্পা আক্তার বলেন, আমরা যৌনকর্মী না। আমরা নৃত্যশিল্পী। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নাচ-গান পরিবেশন করে থাকি। মিথ্যা অভিযোগে পুলিশ আমাদের আটক করে থানায় নিয়ে এসেছে।
অভিযুক্ত মাসুদ রানা বলেন, এরা নাচের শিল্পী। একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নৃত্য করার জন্য তাদের আনা হয়েছিল।
তবে স্থানীয়রা বলেন, শ্রমিক লীগ নেতা মাসুদ রানা একজন নারী কারবারি। তিনি বিভিন্ন এলাকা থেকে মেয়ে এনে এ এলাকায় দেহ ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। তারা কেউ নৃত্যশিল্পী নন। তাদের অসামাজিক কার্যকলাপে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
এ বিষয়ে তাড়াশ থানার ওসি (তদন্ত) রুপ কর জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের আটক করা হয়। বুধবার সকালে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ফিরোজ আল আমিন/এমবি