ফরিদপুরের ভাঙ্গায় মাদক বিক্রিতে বাধা দেওয়ায় মেহেদী হাসান (২৭) নামে এক যুবককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (১৮ জুন) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের বাররা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত মেহেদী ওই এলাকার আতিয়ার খন্দকারের ছেলে। বর্তমানে তিনি ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমান।

স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, বাররা গ্রামের মৃত ইমান্দি শেখের ছেলে হারুন শেখ দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক বিক্রির সঙ্গে জড়িত। তার মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করেন মেহেদী হাসান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হারুন শেখ ও তার লোকজন বুধবার বিকেলে তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন।

আহত মেহেদী হাসান অভিযোগ করে বলেন, ‘হারুন শেখ এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। সে আমার ছোট ভাই রাকিবকে ভয়ভীতি ও প্রলোভন দেখিয়ে মাদক পরিবহন ও সেবনে বাধ্য করে। আমি বিষয়টি জানতে পেরে হারুনকে নিষেধ করি। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে তার ভাই আক্কাছ শেখ, দুই ছেলে জামাল শেখ ও সুজাত শেখকে নিয়ে আমাকে হাতুড়ি দিয়ে মারধর করে।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমান বলেন, ‘হারুন শেখ মাদক বিক্রি করে এলাকার যুবসমাজকে ধ্বংস করছে। সে এ নিয়ে আগে জেলও খেটেছে। এবার মাদকের প্রতিবাদ করায় মেহেদীকে মারধর ও তার পরিবারের বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে।’

এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মোসলেউদ্দিন/এআরএস