Logo

সারাদেশ

শখের বশে আঙুর চাষ, মেহেদীর আঙিনায় থোকা থোকা সাফল্য

Icon

এসকে দোয়েল, পঞ্চগড়

প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২৫, ১০:০৩

শখের বশে আঙুর চাষ, মেহেদীর আঙিনায় থোকা থোকা সাফল্য

ছবি : বাংলাদেশের খবর

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় শখের বশে আঙুর চাষ করে সফল হয়েছেন মেহেদী হাসান নামে এক শিক্ষার্থী। সীমান্তঘেঁষা সর্দারপাড়া গ্রামে নিজ বাড়ির আঙিনায় বিদেশি জাতের দুটি চারা রোপণের মধ্য দিয়ে তার আঙুর চাষের যাত্রা শুরু হয়। মাত্র ১০ মাসেই গাছে ফল এসেছে, আর তাতেই চমক সৃষ্টি হয়েছে এলাকাজুড়ে।

রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে সংগ্রহ করা বাইকুনুর ও একেলো জাতের আঙুর গাছে থোকায় থোকায় ধরেছে সুস্বাদু ও মিষ্টি ফল। প্রতিটি থোকায় রয়েছে ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের আঙুর। মেহেদীর আঙিনায় শোভা পাওয়া মাচা ঝুলে থাকা আঙুর দেখতে প্রতিদিনই ছুটে আসছেন নানা বয়সী দর্শনার্থী।

মেহেদী বলেন, `ছোটবেলা থেকেই কৃষির প্রতি ভালোবাসা। প্রথমে বাবা-মায়ের বকাঝকা শুনলেও আমি থেমে যাইনি। এখন ফল আসতে দেখে তারাও উৎসাহ দিচ্ছেন।'

তিনি জানান, বর্তমানে তার সংগ্রহে রয়েছে বাইকুনুর, একেলো, লেম্বারগিনি, ভেলেজ, ভেলিকা, রেবেকা, ডরিনা, সুপার নোভা, ট্রাসফিগারেশনসহ মোট ২৭টি বিদেশি জাতের আঙুর।

মেহেদী বলেন, `একটি গাছ ৪০ থেকে ৫০ বছর ফল দেয়। বছরে তিনবার ফল আসে। প্রতিটি গাছে দেড় থেকে দুই মণ পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। এখন আমি চারা তৈরি শুরু করেছি, ভবিষ্যতে বিক্রিও করবো।'

তেঁতুলিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জীবন ইসলাম বলেন, `মেহেদীর চাষ সফল হয়েছে দেখে আমরা আশাবাদী। ভবিষ্যতে আঙুর চাষে এই অঞ্চল সম্ভাবনাময় হয়ে উঠতে পারে।'

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, `এই এলাকায় এমন আঙুর আগে দেখিনি। স্বাদে মিষ্টি, দেখতে দৃষ্টিনন্দন। মেহেদী আমাদের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে।'

এআরএস

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর