ফরিদপুরে বিএনপির মোটরসাইকেল বহরে পুলিশের অভিযান, গ্রেপ্তার ২

ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২৫, ১৮:৫৯
-685409a2231cd.jpg)
ফরিদপুরের মধুখালীতে বিএনপির কর্মী সম্মেলনে যোগ দিতে যাওয়া একটি মোটরসাইকেল বহরে পুলিশ ‘অভিযান’ চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অভিযানের সময় আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন নেতাকর্মী।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার কামারখালি টোলঘরের সামনে এই ঘটনা ঘটে। ডুমাইন ইউনিয়ন থেকে উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে যোগ দিতে আসা মোটরসাইকেল বহরে আকস্মিক এই অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছে দলীয় নেতাকর্মীরা।
বহরে থাকা নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, টোলঘরের সামনে হঠাৎ সাদা পোশাকে থাকা একদল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য তাদের গতিরোধ করেন। এরপর কিছু বুঝে ওঠার আগেই হামলা চালান। এতে ডুমাইন এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য শহিদুল বিশ্বাস ও আকাশ নামে এক যুবক আহত হন। শহিদুলের মাথায় এবং আকাশের পিঠে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
গ্রেপ্তার হওয়া দুই যুবক হলেন—ডুমাইন ইউনিয়নের বিশ্বাসপাড়ার এস এম রাজন (৩২) ও মিল্টন বিশ্বাস (৩২)। পুলিশের দাবি, এস এম রাজন ডিবি পুলিশের ওপর হামলার মামলার দ্বিতীয় আসামি। তবে মিল্টন ওই মামলায় এজাহারভুক্ত নন। তার ভাই কবিরুল বিশ্বাস ওই মামলার অন্যতম আসামি।
এ বিষয়ে মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম নুরুজ্জামান বলেন, ‘সেখানে হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি। বরং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ডিবি পুলিশের ওপর হামলা মামলার আসামিদের ধরতে গেলে দৌড়ঝাঁপের কারণে কেউ সামান্য আহত হতে পারেন।’
পুলিশের ভাষ্য, ২০২৪ সালের ২১ জানুয়ারি ডুমাইন বাজারে জুয়ার আসরে অভিযান চালাতে গিয়ে ডিবি পুলিশের একাধিক সদস্য আহত হন। ওই ঘটনায় ২৩ জানুয়ারি মধুখালী থানায় এসআই শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩০-৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবারের গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালনা করা হয়।
তবে স্থানীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ, এটি একটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক হামলা। স্থানীয় সূত্রের দাবি, দলীয় রাজনীতিতে গ্রুপিংয়ের কারণে এক পক্ষের ইন্ধনে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশের কারো কারো মাথায় ‘দলীয় এক নেতার স্লোগান সম্বলিত টুপি’ ছিল বলেও দাবি করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।