-6854109770148.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
মুন্সীগঞ্জ সদরের চরআব্দুল্লাহ গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীতে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে বালুমহালের ইজারাদার পক্ষ ও স্থানীয় গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকাল ১০টার দিকে আধারা ইউনিয়নের চরআব্দুল্লাহ এলাকায় এই সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন ড্রেজার শ্রমিক আহত হয়েছেন। এ সময় একটি ড্রেজারে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, মেঘনা নদীর নির্ধারিত সীমানা অতিক্রম করে গ্রামসংলগ্ন এলাকায় বালু উত্তোলন করছিলেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি-সমর্থিত ইজারাদার ও ড্রেজার ব্যবসায়ীরা। এতে নদীতীরবর্তী জমি ও বসতবাড়ি ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়ায় আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীর দাবি, ইজারা দেওয়া হয়েছে ভাসানচর মৌজায়, অথচ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে চরআব্দুল্লাহ মৌজায়—যেখানে তাদের রেকর্ডকৃত ফসলি জমি ও বসতভিটা রয়েছে। জমি হারানোর আশঙ্কায় গ্রামবাসী লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে ড্রেজারে হামলা চালান।
সংঘর্ষে আহত ড্রেজার শ্রমিক মো. মোস্তফা (৫৫) বর্তমানে মুন্সীগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অন্য আহতরা হলেন মো. সাইফুর (৪০) সহ আরও কয়েকজন, যাদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
চরআব্দুল্লাহ বালুমহালের ইজারাদার ও মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ‘আমরা প্রশাসনের নির্ধারিত সীমানার মধ্যেই বালু উত্তোলন করছিলাম। কিন্তু স্থানীয় আওয়ামী লীগপন্থীরা গ্রামবাসীকে উসকানি দিয়ে আমাদের ড্রেজারে হামলা চালিয়েছে।’
এলাকাবাসীর পক্ষে মো. নুরে আলম সাগর অভিযোগ করে বলেন, ‘চরআব্দুল্লাহ মৌজায় আমাদের প্রায় চার একর রেকর্ডকৃত জমি রয়েছে। অথচ বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই বালুদস্যুরা আমাদের জমি কেটে নিচ্ছেন। আমরা জমি রক্ষার জন্য বাধা দিয়েছি মাত্র।’
চরআব্দুল্লাহ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাহবুব আলম বলেন, ‘গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বালুমহালের ড্রেজারে হামলা চালায়। এতে কয়েকজন আহত হন এবং একটি ড্রেজারে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
এমআই