
সুনামগঞ্জের ছাতকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে বালুবোঝাই ৯টি নৌকাসহ ৭ জনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের গোয়াপাকুরা হাওর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার ছোট ঘাগটিয়া গ্রামের মৃত আ. মন্নানের ছেলে মোশাহিদ মিয়া (৩৫), একই উপজেলার নুরপুর গ্রামের জমিদার পাঠানের ছেলে জসিম উদ্দিন (৩০), সদরকান্দি গ্রামের নবী হোসেনের ছেলে রমজান আলী (২৪), দুর্লভপুর গ্রামের তাজুদ মিয়ার ছেলে মাইনুদ্দিন (২৮), সাচনা ইউনিয়নের আব্দুল আলীর ছেলে রুবেল মিয়া (২৭), বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফুলডরি গ্রামের মোদাব্বির আলীর ছেলে নবাব মিয়া (৩২) ও একই উপজেলার কৌয়া গ্রামের মৃত হরে কৃষ্ণ দাসের ছেলে বকুল দাশ (৫৫)।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন ছাতক সেনাবাহিনী ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন মুহতাসিম আহনাফ শাহরিয়ার এবং ছাতক নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আনোয়ার হোসেন। অভিযানের সময় আটক নৌকাগুলোতে প্রায় ১০ হাজার ২০০ ঘনফুট বালু ছিল বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
নৌ-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয়ভাবে গঠিত একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে বোমা মেশিন ও ড্রেজার ব্যবহার করে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিল। এই প্রক্রিয়ায় পরিবেশ ও নদীতীরবর্তী এলাকাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বালু উত্তোলনের কারণে নদী ভাঙন বেড়ে যাচ্ছে। ঘরবাড়ি ও কৃষিজমি হুমকির মুখে পড়ছে। এ ছাড়া নদীতীরের অন্তত ২৫টি গ্রামে ভাঙনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে বলেও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
নৌ-পুলিশের ইনচার্জ মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে যৌথবাহিনী অভিযান পরিচালনা করেছে। ৯টি নৌকাসহ ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে উত্তোলিত বালুসহ নৌকাগুলো জব্দ করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।
ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান আকন্দ বলেন, বৃহস্পতিবার যৌথবাহিনীর অভিযানে ৯টি বালু বোঝাই নৌকাসহ ৭জনকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে।
- লোকমান আহমদ/এটিআর