গাজীপুরের শ্রীপুরে সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে চলন্ত পিকআপভ্যানে ডাকাতির সময় চালককে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে ডাকাত দল। একই সময়ে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় ডাকাত দলের কয়েকজন সদস্য আহত হন। পরে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে পিকআপচালক ও এক ডাকাত নিহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ ডাকাত দলের পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাত দেড়টার দিকে শ্রীপুর উপজেলার মাওনা-বরমী আঞ্চলিক সড়কের সাতখামাইর মাজার সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত পিকআপ চালকের নাম আবুল কালাম (৪০)। তিনি শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ী গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। নিহত ডাকাত সদস্যের নাম আরিফ হোসেন (২২)। তিনি কুমিল্লা জেলার হাবিবুর রহমানের ছেলে।

ভুক্তভোগী শফিকুল ইসলাম জানান, তিনি রাত দেড়টার দিকে এমসি বাজার থেকে কাঠের ভুষি আনতে একটি পিকআপ ভাড়া করে বরমীর উদ্দেশে রওনা হন। সাতখামাইর মাজারের কাছে পৌঁছালে ৬-৭ জনের ডাকাতদল সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে গাড়ির গতি রোধ করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ চালায়। তারা মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়।

একই সময় অপরদিক থেকে আরেকটি গাড়ি এলে তারা ওই গাড়ির গতিরোধের চেষ্টা করে। কিন্তু চালক গাড়ির গতি বাড়িয়ে ডাকাত দলের এক সদস্যকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। এতে ডাকাতদলের কয়েকজন সদস্য আহত হন। এ সময় পিকআপে থাকা অন্য লোকজন চিৎকার শুরু করলে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে আহতদের আটক করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় ডাকাত দলের পাঁচ সদস্যকে আটক করে। তবে অন্য সদস্যরা পালিয়ে যায়।

শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শফিকুল ইসলাম বলেন, সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির ঘটনায় আহত অবস্থায় পাঁচজন ডাকাত ও পিকআপ চালককে আনা হয়। পিকআপ চালকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অপরদিকে ডাকাত দলের একজন সদস্য ভোর ৪টার দিকে হাসপাতালে মারা যায়।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল বারিক বলেন, সড়কে ডাকাতির ঘটনায় ডাকাত দলের চার সদস্যকে পুলিশ আটক করেছে। গাড়ির ধাক্কায় ডাকাতদলের এক সদস্য মারা গেছে। আমরা এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।

সোহেল/এমবি